shono
Advertisement

জাল নিয়োগপত্র দিয়ে কীভাবে প্রধানশিক্ষক বাবার স্কুলে শিক্ষকতা? DIG CID-কে তলব হাই কোর্টের

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ।
Posted: 08:25 PM Aug 09, 2023Updated: 08:25 PM Aug 09, 2023

গোবিন্দ রায়: জাল সুপারিশ ও জাল নিয়োগপত্র দিয়ে কীভাবে দিনের পর দিন শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি? এর পিছনে কি কোনও চক্র কাজ করে? মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সেই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। এই সংক্রান্ত একাধিক উত্তর পেতে ও তদন্তের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে ফের তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সিআইডির তরফে কোনও অফিসার উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এরপরেই ডিআইজি সিআইডিকে ডেকে পাঠান। আদালত জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই স্কুলেরই ভুয়ো শিক্ষক ছেলে। সম্প্রতি এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। মূলত আদালত সব জেলার ডিআইদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত হলফনামা তলব করে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের সব স্কুলে কি বাধ্যতামূলক হচ্ছে বাংলা? স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী]

সেই রিপোর্ট থেকে এই তথ্য উঠে আসে। তদন্তে উঠে আসে ৭ জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। এমনই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আদালত এই অভিযোগের জেরে সংশ্লিষ্ট মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে এফআইআর করতে নির্দেশে দেন। এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, গঙ্গারামপুরে তদন্তের কাজে গিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। বিচারপতি জানতে চান, ভুয়ো নিয়োগের সন্ধান পাওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন, এছাড়াও এই শিক্ষকের আসল সংখ্যা কত, এই সমস্ত একাধিক প্রশ্ন জানতে চান বিচারপতি।

[আরও পড়ুন: এবার নবান্নে করা যাবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট! জেনে নিন খুঁটিনাটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement