shono
Advertisement

‘অর্পিতার রথতলার আবাসনে যেতেন সৌগত’, বিস্ফোরক দিলীপ, পালটা দিলেন TMC সাংসদও

রথতলার আবাসনে অফিস রয়েছে তৃণমূল সাংসদের।
Posted: 10:26 AM Jul 28, 2022Updated: 10:42 AM Jul 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ে (Arpita Mukherjee) রথতলার যে আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে, সেখানে নাকি যাতায়াত ছিল তৃণমূলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়ের। এমনই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার বিজেপি (BJP) নেতার সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে পালটা অভিযোগ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ। অভিযোগ প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়ে রাখলেন সৌগত।

Advertisement

বুধবার পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে বেলঘরিয়ার রথতলার দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিলেন ইডির (ED) আধিকারিকরা। সেখান থেকেও বিপুল নগদ টাকা, সোনা-রুপো উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, রথতলার ওই ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ফোরক টুইট করেন দিলীপ। সেখানেই নিশানা করেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদকে।

[আরও পড়ুন: পার্থকে এখনই দলের সব পদ এবং মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা উচিত, বিস্ফোরক টুইট কুণালের]

টুইটার হ্যান্ডেলে দিলীপ লেখেন, “বেলঘরিয়ায় আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। ওই আবাসনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়েরও যাতায়াত ছিল। সেখানে তাঁর একটি অফিসও রয়েছে। যত সময় যাবে ততই তৃণমূল নেতার নোংরা মুখোশ খুলবে।” এই টুইটের পরই বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে যায়। এই অভিযোগ নিয়ে এদিন সকালে মুখ খুললেন সৌগত রায় (Sougata Roy)।

 

এদিন সংবাদমাধ্যমকে সৌগত জানান, রথতলার ওই আবাসনে এক ফ্ল্যাট আছে। যেটা আমাকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। আমি ওটার মালিকও নই, ভাড়াও দিই না। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আমি চিনতাম না। কোনওদিন ওর ফ্ল্যাটও যায়নি। কার টাকা, তাও জানি না।” এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি অর্পিতাকে চিনতাম বা নাকতলার পুজোয় যেতাম, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কেউ যদি দেখাতে পারে আমার নামে কোনও জমি-বাড়ি আছে, তাহলেও আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে সৌগত আরও বলেন, “এটা বিজেপি, দিলীপ ঘোষদের চক্রান্ত। কিন্তু আমি বিজেপির বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি, থাকব।”

[আরও পড়ুন: রাজ্যের ২০ হাজার অস্থায়ী পদে নিয়োগেও দুর্নীতি! কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement