বিধান নস্কর, বিধাননগর: আর কি কর কাণ্ড নিয়ে ফের পথে নামলেন চিকিৎসকরা। সোমবার বেলায় বিধাননগরের সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান চালানো হয়। সিবিআই তদন্ত কোন পথে? ন্যায়বিচার কবে পাওয়া যাবে? সেই প্রশ্ন তুলে আবারও স্লোগান ওঠে। পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। গার্ডরেল ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগনোর চেষ্টা করেন। ঘটনা ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। শিয়ালদহ আদালতে দ্রুত বিচার হয়। বিচারক খুন ও ধর্ষণ মামলায় সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত কোন পথে এগলো? ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় সঞ্জয় কি একাই ছিল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীদের একটা অংশ। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে কেন ব্যর্থ সিবিআই? থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা কেন শাস্তি পেল না? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত আন্দোলনকারীদের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার শরীরে ১৫০ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছিল বলে জোরালো দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। যদিও পরে সেই বিষয়টি সত্য নয় বলে জানা যায়। আন্দোলনের নামে টাকা তোলা হচ্ছিল। সেই অভিযোগও ওঠে। আদালতের ভরসা থাকলেও কেন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? সেই প্রশ্নও তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু সেই বিষয়েও কোনও কথা বলতে চাননি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এসবের মধ্যেই ফের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান আন্দোলনকারীদের।
ডাক্তার ও নার্সদের সংগঠন এমএসসি, এসডিএফ, এনইউ-র ডাকে এদিন অভিযান চলে। যদিও সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গেটের বাইরে গার্ডরেল দিয়ে আটকানো ছিল। আন্দোলনকারীরা সেখানে যাওয়ার পরেই উত্তেজনা ছড়ায়। তারা গার্ডরেলের বাধা সরিয়ে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। ওই এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও পুলিশের বাধা সরিয়ে কেউ ভিতরে যেতে পারেননি। পরে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় এদিন দুপুরে বেশ উত্তেজনা ছিল।