সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। তালিকায় রয়েছে হোটেল এবং রিসর্টও। প্রসন্নর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে X হ্যান্ডেলে একথা জানানো হয়েছে।
প্রসন্ন রায় ছিলেন মূল মিডলম্যান বা এজেন্ট যিনি চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন্য মাথাদের। প্রসন্ন ও তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায় ৯০টির উপর সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। কয়েকটিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রসন্নর সঙ্গী রোহিতকুমার ঝাঁয়ের। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা পাচার হত। প্রসন্নর অফিস থেকে ৩৯০টি সম্পত্তির দলিল ও ‘ডিড’উদ্ধার হয়। দেখা গিয়েছে, গত ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রসন্ন রায়, তাঁর স্ত্রী, মা ও বাবার নামে এই সম্পত্তিগুলি কেনা হয়। সাধারণভাবে সরকার নির্ধারিত দরের থেকে অনেক কম দামে এই সম্পত্তিগুলি কেনা হয়। টাকা পাচারের জন্য প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী ও সংস্থার নামে ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটি টাকা জমা হয় বলে অভিযোগ ইডির।
ইডির নজরে ছিল প্রসন্নর নামে ৯১টি সংস্থার অধীনে থাকা সাত কাঠা করে জমিও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে প্রসন্ন একসময় দাবি করেন, তিনি জমিতে চাষ করান। পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটো, কলা, বিনস, সরষে-সহ বিভিন্ন ফল ও সবজি চাষ হয় বলে দাবি করেন। তার থেকেই নাকি এত বিপুল আয় হয়েছে প্রসন্নর। ইডির দাবি, প্রসন্নের জমিতে কোনও চাষবাস হয়নি। যে টাকা লেনদেন হয়েছে তা নিয়োগ দুর্নীতিরই। তদন্তকারীদের দাবি, ইডির নজর এড়াতে চাষের গল্প ফেঁদেছিলেন প্রসন্ন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যুক্ত সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে চাষের কোনও তথ্য পাননি ইডি আধিকারিকরা। ইডি জানায়, আইন অনুযায়ী কোনও সংস্থার অধীনে সর্বোচ্চ সাত কাঠা জমি রাখা যায়। প্রসন্নর নামে থাকা ৯১টি সংস্থার অধীনে সাত কাঠা করেই জমি রয়েছে। আইনের চোখ এড়াতেই এত সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই অনুমান।