সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপের পাশাপাশি এবার আর্থিক দুর্নীতি আটকাতেও কোমর বেঁধে নামছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপ আটকাতে লোকসভা নির্বাচনে এবার ব্যবহার করা হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে (Central Agencies)। মঙ্গলবার একথা জানিয়ে দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। সাংবাদিক বৈঠকে এদিন নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এক্ষেত্রে সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে একটি পোর্টাল। আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে সাহায্য নেওয়া হবে এই পোর্টালের।”
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহারের অভিযোগ দেশে নতুন কিছু নয়। টাকার বিনিময়ে ভোট ও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ বহুবার শোনা গিয়েছে বিরোধীদের গলায়। এই পরিস্থিতি আটকাতেই বাংলায় কমিশনের তরফে এজেন্সিকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের আগে ২২ টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। এর পরই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নিয়ে পোর্টাল তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, ভোটে কালো টাকা ব্যবহার ও অবৈধ টাকার লেনদেন রুখতে নজরদারি চালাবে ইডি, আয়কর দপ্তরের মতো এজেন্সিগুলি।
[আরও পড়ুন: ‘নরেন্দ্র মোদি ভালো মানুষ’, গেরুয়া শিবিরে পা রেখেই দরাজ সার্টিফিকেট অভিজিতের!]
যদিও নির্বাচনে এজেন্সির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। কারণ, অবিজেপি রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বার বার বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বকলমে বিজেপি দ্বারাই পরিচালিত। লোকসভা নির্বাচনে সেই এজেন্সিকে বাংলায় ব্যবহার করা হলে এজেন্সি কতটা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন রাজন্যা? লোকসভা ভোটের আগে তুঙ্গে জল্পনা]
এছাড়াও আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে এদিন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, “ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও বলে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের টাকার ভ্যান যেন বিকাল পাঁচটার পর রাস্তায় না বেরয়। রাজ্যে যতগুলো হেলিপ্যাড, বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে। জেলাশাসক যখন কোনও হেলিকপ্টার কিংবা বিমানকে অবতরণের সবুজ সঙ্কেত দেবেন, তখন ইডি আধিকারিক ও বিসিএস – এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকেও দিতে হবে।”