শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের যে সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন (এর মধ্যে ২টি কেন্দ্রে বিধানসভা ভোট হয়নি) বাকি সেসব জায়গায় ইভিএম-ভিভিপ্যাটের (VVPAT) ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষার নির্দেশ দিল কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জেলা কর্তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সাধারণত EVM-ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ থেকেই কোনও জায়গার নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে। ভোট প্রস্তুতির সর্বপ্রথম ধাপ এটি। ফলে ইভিএম ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু করতে বলে কার্যত ওই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলো কমিশন। আগামী ৩ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে জেলাগুলিকে এই কাজ সেরে ফেলতে বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। কোভিড বিধি মেনে এই কাজ করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের Delhi সফরে রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar, কারণ নিয়ে জোর জল্পনা]
ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ এবং দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। যেহেতু মুর্শিদাবাদে ইভিএম চূড়ান্ত পরীক্ষা করা রয়েছে তাই মুর্শিদাবাদ বাদে বাকি পাঁচ জেলাকে ইভিএম-ভিভিপ্যাট প্রথম পর্যায়ের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শীঘ্রই উপ নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারপরের দিনই প্রথম পর্যায়ে ইভিএম পরীক্ষার নির্দেশ শাসক দলের নৈতিক জয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে তাতে এদিনের এই নির্দেশ শাসকদলের মনোবলও বৃদ্ধি করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
[আরও পড়ুন: এবার কলার টিউনে ‘বাংলার যুবরাজ অভিষেকে’র জয়জয়কার, নয়া উদ্যোগ TMCP’এর]
প্রসঙ্গত, জয়ী বিধায়কদের পদত্যাগ এবং মৃত্যুর কারণে রাজ্যের ৫টি কেন্দ্র এই মুহূর্তে বিধায়ক শূন্য। আর মুর্শিদাবাদের দুটি কেন্দ্রে ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যুর জন্য বিধানসভা ভোটেরই আয়োজন করা যায়নি। সব মিলিয়ে সাত কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ার কথা নভেম্বরের মধ্যে। কিন্তু, শাসকদল তৃণমূলের আশঙ্কা ছিল রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরির লক্ষ্যে করোনার অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে ভোট করাবে না কমিশন। আপাতত সে আশঙ্কা উড়িয়ে প্রস্তুতি শুরু হল উপনির্বাচনের।