shono
Advertisement
Election Commission

কমিশনের ভ্রান্তিবিলাস! আ-কার, ই-কার গেরোয় যখন তখন ডাক, নাজেহাল বৈধ ভোটাররা

বিএলওদের ফোনে অতিষ্ঠ ভোটাররা!
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 06:26 PM Dec 21, 2025Updated: 08:12 PM Dec 21, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: SIR-এ আ-কার, ই-কার বিড়ম্বনা! দীর্ঘদিনের ভারতের নাগরিক, বাংলার বাসিন্দা, নাগরিকত্বের যাবতীয় প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই বিএলওর ফোন পাচ্ছেন বৈধ ভোটাররা। কমিশনের গলদেই ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে! কেউ পাচ্ছেন দেখা করার নির্দেশ, কাউকে তড়িঘড়ি অনলাইনে পাঠাতে হচ্ছে নথি। সব মিলিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে।

Advertisement

রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশছাড়া হওয়ার ভয় জাঁকিয়ে বসেছিল রাজ্যবাসীর মনে। পরবর্তীতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই অনেকে স্বস্তি পেয়েছিলেন। তবে কমিশন সাফ জানিয়েছিল, খসড়া লিস্টে নাম উঠলেই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। হিয়ারিংয়ের ডাক পড়তেই পারে।  হিয়ারিং শুরু হতেই দেখা গেল, এযেন এক বিড়ম্বনা!  গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিএলওর ফোন পেয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা একটাই, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ও পদবির সঙ্গে মিলছে না বর্তমান বানান। কারও ক্ষেত্রে বাবার পদবির সঙ্গে মিলছে না সন্তানের পদবির বানান। স্রেফ আ-কার, ই-কার সমস্যায় একের পর এক ফোন! নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছেন বিএলও।

কিন্তু বলাই বাহুল্য, এই সমস্যার নেপথ্যে খোদ কমিশন। ঠিক কীভাবে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যায়।  কারও নামের বানান বদলে যায়, পুরুষকে স্ত্রী করে দেওয়ার ঘটনাও নেহাত কম নেই! পরবর্তীতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তা ঠিকও করে নেন ভোটাররা। ২০০২ সালের লিস্টে বহু ভোটারের ক্ষেত্রেই এহেন সমস্যা ছিল। পরবর্তীতে তাঁরা তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শুধরেও নিয়েছেন। কিন্তু এসআইআরে ম্যাপিং করা হয়েছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট অনুযায়ী। অর্থাৎ ধরুন আপনার নামের বানানে ২০০২ সালের তালিকায় কোনও গন্ডগোল ছিল। পরে তা ঠিক হয়েছে। এনুমারেশন ফর্মে আপনি ঠিকই লিখেছেন। এবার ম্যাপিংয়ে যখন ২০০২ সালের লিস্টের সঙ্গে মেলানো হচ্ছে তা মিলছে না। কারণ, সেখানে ভুল ছিল, এখন ঠিকটা লিখেছেন। ব্যস, এখানেই শুরু সমস্যা।

কেউ অফিসে, কেউ ব্যবসার কাজে ব্যস্ত, তার মাঝেই বিএলওর ফোন। ওপ্রান্ত থেকে তড়িঘড়ি হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে নথি নিয়ে। কিন্তু কাজের ফাঁকে বললেই তো যাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে এসআইআর বড় বালাই, সেখানেও না করার সাধ্যি কার! কেউ কেউ পারছেন অনলাইনেই সমস্যা মেটাতে, কেউ আবার সেটাও পারছেন না। তাঁদের যে কোনও মূল্যে পৌঁছে যেতে হচ্ছে বিএলওর দরবারে। পাছে নাগরিকত্ব হারাতে হয়! একইভাবে সমস্যায় কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকা বাংলার বাসিন্দারাও। উল্লেখ্য, ভিনরাজ্যে কর্মরত এরাজ্যের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের ব্যবস্থাও রেখেছিল কমিশন। কিন্তু সেখানেই নামের বানান-সহ একাধিক সমস্যা হয়েছে। এখন হিয়ারিং পর্বেও তলব পেয়ে কাজ শিকেয় তুলে ঘরে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। সব মিলিয়ে এসআইআর পর্বে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার আমজনতা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই বিএলওর ফোন পাচ্ছেন বৈধ ভোটাররা। কমিশনের গলদেই ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে! কেউ পাচ্ছেন দেখা করার নির্দেশ, কাউকে তড়িঘড়ি অনলাইনে পাঠাতে হচ্ছে নথি।
  • সব মিলিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে।
Advertisement