shono
Advertisement

আচার্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা, হুঁশিয়ারি প্রাক্তন উপাচার্যদের

পুজোর পরই নেওয়া হতে পারে আইনি পদক্ষেপ।
Posted: 03:00 PM Oct 08, 2023Updated: 03:00 PM Oct 08, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে (C V Anand Bose)আরও কিছুটা সময় দিলেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। শুক্রবার ‘দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামে’র তরফে করা সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, পুজোর (Durga Puja) এই মাসটা তাঁরা পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবেন না। বরং, আশা করবেন এই সময়কে ব্যবহার করে প্রাক্তন উপাচার্যদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলির জন্য সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন আচার্য। অন্যথায় পুজোর পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবেন। অর্থাৎ মানহানির মামলা করবেন।

Advertisement

প্রাক্তন উপাচার্যদের (Ex VC) বিরুদ্ধে একটি ভিডিও বার্তায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস। যেগুলিকে ‘সর্বৈবভাবে মিথ্যা’, ‘অসম্মানজনক’, ‘বিভ্রান্তিকর’, ‘অযৌক্তিক’ জানিয়ে আচার্যকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য। বলা হয়েছিল, সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে আচার্যকে। অন্যথায় মানহানির মামলা করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। আইনি নোটিসে বলা হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে জনসমক্ষে ক্ষমা না চাইলে আচার্যের বিরুদ্ধে ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য আলাদা আলাদাভাবে মানহানির মামলা করবেন এবং ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাবেন। আচার্যকে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: পরকীয়ার টান? স্বামীর টাকাপয়সা হাতিয়ে নিখোঁজ ২ সন্তানের মা]

পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) প্রাক্তন উপাচার্য তথা যাদবপুরের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “উনি যেহেতু আচার্য, তাই আইনি নোটিসটিকে কার্যকর করার সময় এলেও এখনও করিনি। আমরা স্থির করেছি, উনি যদি জনসমক্ষে দুঃখপ্রকাশ করেন, তাহলে মামলার বিষয়টার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে আমরা ধরে নেব উনি মীমাংসা চান না। আর তাহলে কিন্তু আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করব।”

[আরও পড়ুন: কামদুনি আন্দোলন এবার দিল্লিতে, সুপ্রিম কোর্ট-রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে নির্যাতিতার পরিবার]

আচার্যের বিরুদ্ধে পুজোর পরে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে। দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের তরফে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের যথার্থতা তুলে ধরা হয়েছে ও আচার্য নিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের প্রতিও সহমর্মিতা জানানো হয়েছে। ফোরামের তরফে রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম, আচার্য বেআইনিভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। উনি আসলে খুবই যথেচ্ছাচার করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement