অর্ণব আইচ: ভুয়া QR কোডের আড়ালে নকল সবুজ বাজি (Green crackers)! পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সেই বেআইনি বাজি ধরতে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। তার জন্য কলকাতার কয়েকটি ‘পয়েন্ট’ শনাক্ত করেছে লালবাজার (Lalbazar)।কালীপুজোর এখনও দু’সপ্তাহ বাকি। কিন্তু পুলিশের ধারণা, তার অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ বাজি পাচার করার ছক কষতে পারে কারবারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, সবুজ বাজি ছাড়া কোনও বাজিই ফাটানো যাবে না। কলকাতায় যে বাজি বাজারগুলি বসানো হবে, সেখানে ব্যবসায়ীরা শুধু সবুজ বাজিই বিক্রি করবেন বলে পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত। সেদিকে সারাক্ষণ পুলিশ নজরদারিও রাখবে।
কিন্তু বাজি বাজার ছাড়াও মধ্য কলকাতার বড়বাজার, জোড়াসাঁকো-সহ সারা শহরের বহু দোকানে বাজি বিক্রি হয়। অনেকে রাস্তায় স্টল তৈরি করেও বাজি বিক্রি করেন। লালবাজারের এক কর্তার মতে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি রোখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়ই। তার উপর সাধারণ আতসবাজি (Firecrackers) নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশের উপর অনেক চাপ বেড়েছে। পুলিশকে নজরদারি রাখতে হয় অনেক বেশি।
[আরও পড়ুন: প্রেমিক বিবাহিত, জানতে পারার পরই ভাইরাল গোপন ছবি! অপমানে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী]
নির্দেশ অনুযায়ী, এখন একমাত্র সুবজ বাজিই কেনাবেচা করা যাবে। সবুজ বাজি চেনার মূল উপায় কিউআর কোড (QR Code)। বাজির বাক্সের উপরই এই কোড থাকে। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, এই কিউআর কোড জাল করেই তা বাক্সের উপর ছাপিয়ে পাচার করা হয় সাধারণ আতসবাজি। আবার আতসবাজির আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজিও পাচার করে কিছু কারবারী। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, রাস্তায় মালবাহী গাড়ি থামিয়ে বাজি ধরার পর সেগুলিতে কিউআর কোড না থাকলে নিষিদ্ধ (Ban) বলেই আটক করা হচ্ছে। আবার কিউআর কোড থাকলেও তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। তাতে কোনও গরমিল থাকলেও সেই বাজি আটক করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গুর করাল থাবা, কলকাতায় ফের প্রাণহানি মহিলার]
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতার যে রুটগুলিতে বাজি পাচার হতে পারে, সেগুলির উপরও বিশেষ নজর রয়েছে পুলিশের। সাধারণত দেখা গিয়েছে, মহেশতলা থেকে বেহালা ও তারাতলা হয়ে পাচার হয় বাজি। সেই কারণে, বেহালার বিভিন্ন জায়গা ও তারাতলায় বিশেষ নজরদারি টিম ও নাকা থাকছে। এছাড়াও ভাঙড় ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে কলকাতায় পাচার হতে পারে বাজি। তাই বাসন্তী হাইওয়ের একাধিক জায়গায় থাকছে নজরদারি। এছাড়াও গড়িয়া, যাদবপুর ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও বিশেষ নজর থাকছে পুলিশের। ট্রেনে করে নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে এসে যাতে শহরের কোথাও পাচার না করা হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুর আড়ালেও যাতে নিষিদ্ধ বাজি পাচার করা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে নাকা চেকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।