স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে এসআইআর ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম না থাকলে একাধিক নথি খতিয়ে দেখার কথা। সেক্ষেত্রে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি না থাকলে জন্মের শংসাপত্র জমা দেওয়ার কথাও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় আছে। সেই শংসাপত্র নিতেই কলকাতা তো বটেই, ভিন জেলা থেকেও লোকজন হাজির হচ্ছেন কলকাতা পুরসভায়। যাদের জন্মের শংসাপত্র নেই, অথবা হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের প্রতিলিপি দেওয়া হচ্ছে পুরসভা থেকে। গত সাতদিনের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। পুরসভার সামনে এই শংসাপত্র নেওয়ার জন্য লম্বা লাইনও পড়ছে। তবে গতকাল, বুধবার সাম্প্রতিক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। পুরসভার থেকে বেরিয়ে লাগোয়া রক্সি সিনেমা পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে লাইন চলে গিয়েছিল। পুরসভা থেকে জন্মের প্রতিলিপি দেওয়ার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পুরসভা সূত্রের খবর, সব তথ্য শুনে উদ্বিগ্ন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেছেন, ‘‘মানুষ আতঙ্কিত। তবে অবস্থা সামাল দিতে দৈনিক জন্মের শংসাপত্রের প্রতিলিপি কপির সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করুক।" পুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, এখন রোজ গড়ে ১৫০টি বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পুরস্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার কথায়, শুধু কলকাতা নয়। ভিন জেলা এমনকী ভিন রাজ্যের মানুষও আসছেন পুরসভায়। তাঁরা জন্মেছিলেন শহরের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে। কাজের সুবাদে কেউ বেঙ্গালুরু কেউ আবার হায়দরাবাদে অথবা অন্য কোনও রাজ্যে রয়েছেন। কার্যত অফিস ছুটি নিয়ে ছুটে এসেছেন কলকাতা পুরসভায়। কারণ, হাসপাতালের নথি থাকলেও অনেকের কাছেই পুরসভার জলছবি দেওয়া জন্মের শংসাপত্র নেই।
আবার ভিন জেলার থানা থেকেও পুলিশ গোছা করে জন্মের শংসাপত্র পাঠাচ্ছে যাচাই করার জন্য। সেগুলি অবশ্য পাসপোর্ট ভিসার জন্য। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হাতে লেখা বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। সবগুলি কম্পিউটারে জলছবি দেওয়া এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষর যুক্ত। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার কথায় ‘‘করোনা আবহে চ্যাটবটের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়। এখনও সেই পদ্ধতি চলছে। মাঝেমধ্যেই কম্পিউটার হ্যাং করছে। কাজের গতি কমছে। মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "সবটা বুঝেই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গোচরে আনা হয়েছে। তারপর তিনি প্রতিলিপি বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।"
