গোবিন্দ রায়: নারদ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন রাজ্যের মন্ত্রী, এক বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র ও এক আমলা। শুক্রবার নারদ মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এমএইচ খান। আগামী ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ২০১৬-র ১৪ মার্চ বিধানসভা ভোটের মুখে নারদ স্টিং ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। সেই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। গত বছরের ১৭ মে নারদকাণ্ডে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, ও প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় – এই চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। মামলায় অন্তর্বর্তকালীন জামিন দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় ফের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা]
আদালতের দেওয়া সমস্ত শর্ত সঠিকভাবে পালন করায় শুক্রবার তাদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি। নারদ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি যে চার্জশিট পেশ করে, তাতে এই চারজন ছাড়াও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল। এর মধ্যে কয়েকমাস আগে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশমতো বৃহস্পতিবার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেন।
এদিন তৃণমূল নেতাদের তরফে আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত সওয়ালে বলেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট নেই। আদালতের সমস্ত নির্দেশ তাঁরা পালন করেছেন। তাই জামিন সুনিশ্চিত করার আবেদন জানান তিনি। বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। তাঁর পালটা দাবি, এই মুহূর্তে তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করছেন। কারণ, ইডির তরফে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী জামিন সুনিশ্চিত করা ঠিক নয় বলে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান করে আদালত।