অভিরূপ দাস: ফের শিরোনামে বাঙালি। মোটর সাইকেল (Motor Cycle) চালিয়ে দেশের উচ্চতম হ্রদে পৌঁছলেন এক বাঙালি মহিলা চিকিৎসক। সিকিমের (Sikkim) গুরুদংমার লেকের আশপাশে ছড়িয়ে আর্মি বেস ক্যাম্প। সেখানে আরোহীদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাকর্মীরা। জানতে চান, তাঁদের কারও কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কি না। জেনে নেন তাঁরা কতজন মিলে একসঙ্গে এখানে এসেছেন। সেই সময়ই তাঁরা জানতে পারেন বাইক চালিয়ে এখানে এসেছেন একজন বাঙালি মহিলা চিকিৎসক! যা শুনেই চমকে ওঠেন তাঁরা।
১৭ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতার গুরুদংমার লেকে পৌঁছে অনন্য কৃতিত্ব স্থাপন করলেন ডা. মণিকা সাহা। এমআর বাঙুর হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক মণিকা করোনা আবহে অত্যন্ত ব্যস্ত। ফি দিন অগুনতি গুরুতর অসুস্থ রোগী দেখতে হয়। অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করার জন্য তিনি হাসপাতালে ওভারটাইম ডিউটি করেছেন! আর তারপর চলে এসেছেন স্বপ্নপূরণে।
[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে হাঁসের পালক’! কাশফুলেও নয়া শিল্প, বিপুল কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী]
দক্ষিণ শহরতলির নাকতলায় তাঁর বাড়ি থেকে উত্তর সিকিমের দুর্গম এই লেকের দুরত্ব প্রায় ন’শো কিলোমিটার। ভিজে বরফের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে তিনি পৌছেছেন এই দুরত্বে। বাইক চালিয়ে দেশের সর্বোচ্চ লেকে! এমন স্বপ্ন তাড়া করে বেড়ান বহু মানুষ। সুস্থসবল একজন মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক উপায়ে গুরুদংমার লেকে পৌঁছনো রীতিমতো কঠিন কাজ। শূন্য ডিগ্রি তো বটেই, অধিকাংশ সময়ে হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায় হ্রদের আশপাশের তাপমাত্রা।
ওই আবহাওয়ায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সহজ কাজ নয়। সেই অসাধ্যই সাধন করলেন ডা. মণিকা সাহা। তবে চিকিৎসকের কথায়, ”মহিলা বলে আমি আলাদা করে কোনও কৃতিত্ব চাই না। আমায় দেখে আরও মহিলারা এগিয়ে আসুক এটাই প্রয়োজন।” ৭ নভেম্বর রাত দুটোয় অভিযান শুরু করেন তিনি। উত্তর সিকিমের লাচেন হয়ে গুরুদংমারে পৌঁছন তিনি। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেই ছুঁয়ে এলেন স্বপ্নের মাইলফলক।