অভিরূপ দাস: এ যেন সস্তার তিন অবস্থা। গার্ডেনরিচ (Garden reach) বহুতল বিপর্যয়ের অনুসন্ধানে নেমে এমনটাই বলছেন তদন্ত আধিকারিকরা। দিন পনেরো আগে গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছে বেআইনী বহুতল। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন সেখানে প্রতি বর্গফুট (Square Feet) ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল! এই রেট অনুযায়ী বেআইনী ওই বহুতলের দুই বেডরুম (Bedroom) ফ্ল্যাটের দাম দশ লাখেরও কম! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক বলছেন, "এতো সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির চেয়েও সস্তায় ফ্ল্যাট!
ইন্টারনেটে (Internet) ঘেঁটে দেখা গিয়েছে গার্ডেনরিচে মোটামুটি ভদ্রস্থ ফ্ল্যাট কিনতে গেলে এই মুহূর্তে স্কোয়্যার ফুট পিছু দর হাজার ছয়েক টাকা। সেখানে কী করে ওই দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করছিলেন বেআইনী বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম! তা ভেবে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে আরও একটি বিষয় প্রমাণিত। গার্ডেনরিচে বেআইনী বহুতল উঠেছিল জলা জমি বুজিয়েই। গার্ডেনরিচ নিয়ে ৪ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। স্বতন্ত্র তদন্তে নেমেছে পুরসভা। যে তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন যুগ্ম মিউনিসিপ্যাল কমিশনার, ডিজি (সিভিল), এসডাব্লুএম বিভাগের সিএমই-সহ কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিও।
[আরও পড়ুন : নদিয়ায় সভার কয়েক ঘণ্টা আগে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল, চিন্তায় আয়োজকরা]
কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন কাঠা জমিতে উঠছিল ওই বেআইনী বহুতল। এই সাড়ে তিন কাঠা জমি চারটি প্লটে বিভক্ত। এর মধ্যে তিনটি প্লট বাস্তু জমি হলেও একটি জলাজমি। সেটি বুজিয়েই উঠছিল বহুতলটি। জলাজমি নরম মাটির জন্যই কি পড়ে গেল গার্ডেনরিচের অভিশপ্ত বহুতল? পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সয়েল টেস্টের রিপোর্ট সামনে না আসলে তা বলা সম্ভব নয়। সেই রিপোর্ট আসতে নূন্যতম ২১ দিন লাগবে।
[আরও পড়ুন : ‘বিজেপির মুখোশ খুলতে মহুয়াকে জেতান’, কৃষ্ণনগরের ইতিহাস তুলে রাজমাতাকে তোপ মমতার]
এরই মধ্যেই শনিবার বেআইনী বহুতল ধরতে নতুন অ্যাপ 'ওয়র্ক ডায়েরি'-র প্রশিক্ষণ দেওয়া হল বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের। নতুন এই অ্যাপে লগ ইন করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবেন ইঞ্জিনিয়াররা। প্রতিটি এলাকায় নতুন যে সব আবাসন উঠছে তার ছবি তুলে আপলোড করবেন অ্যাপে। অ্যাপ থেকেই ইঞ্জিনিয়ারের লোকেশন দেখতে পাবেন বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা।