সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরভোট নিয়ে কাটল না জট। মঙ্গলবার রাজভবন-কমিশন বৈঠকের পর চিত্রনাট্যে পরিবর্তন। আজ ঘোষিত হচ্ছে না কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের দিনক্ষণ। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
এদিন প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই জানা যায়, এদিন দুই জেলার পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হচ্ছে না আজ। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরে দিন ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) টুইট করেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন কমিশনারেরই সমতূল্য। তাই তাদেরও নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: SSC গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা: CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য]
চিঠি দিয়েও কমিশনকে সতর্ক করেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে যেন কোনও অবস্থাতেই রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ না করেন।
রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও ২২ ডিসেম্বর গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হওয়ার দাবিতে হাই কোর্টে আগেই মামলা করেছিল বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতে গতকাল হাই কোর্টে (Calcutta High Court) পুরভোট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সর্বদল বৈঠকও করে কমিশন। বৈঠকে তৃণমূল, বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছিল পুরবিলের সংশোধনীতে রাজ্যপালের সম্মতি মিললেই কাটবে জট। কিন্তু এদিনের বৈঠকের পরও সেই বিলে তিনি সই করেননি বলেই খবর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি যে দাবি তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, সেই সুরই এবার শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়।
ইতিমধ্যেই দুই পুরসভার খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই তা চূড়ান্ত করা হবে বলে খবর। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী কলকাতা ও হাওড়ার ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই তালিকা অনুযায়ী কলকাতা পুরসভার (KMC Election) মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫২। হাওড়ার মোট ভোটার রয়েছেন ৯ লক্ষ্য ৩৮ হাজার ৮৭৭। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। পাশাপাশি কোভিডবিধি (CVID Protocols) মেনে ভোট গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।