বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে বিমান বিভ্রাট নিয়ে এবার বিধানসভায় (Assembly)সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার বিধানসভার শুরুতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত পাইলটের দেওয়া রিপোর্ট নস্যাৎ করেন। তাঁর বক্তব্য, ”খারাপ আবহাওয়ার জন্য মোটেই সমস্যার মুখে পড়েনি বিমান। সামনে আরেকটি বিমান চলে এসেছিল। পাইলট নিজের দক্ষতায় আমার বিমানটি নিচে নামিয়ে বড় দুর্ঘটনা এড়ান। আর ১০ সেকেন্ড হলে বড় বিপদ ঘটতে পারত।” তিনি ATC’র দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
গত সপ্তাহে বারাণসী (Varanasi) সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির (SP) হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে শুক্রবার বিমানে চড়ে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানটি দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। দমদম বিমানবন্দরে (DumDum Airport) বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, ৩ ঘণ্টার মধ্যে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানোর তোড়জোড়]
মুখ্যমন্ত্রীর মতো VVIP-র বিমানের ক্ষেত্রে কেন এমনটা ঘটল, নিরাপত্তায় গলদ ছিল কিনা – এসব নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় DGCA’র কাছে রিপোর্ট তলব করে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব নিজে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (AAI) চিঠি লেখেন। বিমানটির পাইলট প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে এয়ারপকেটে পড়ার কথা উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এয়ার পকেটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর চপারটি। তাই বড় ঝুঁকি এড়াতে ATC’র নির্দেশেই বিমানটি নিচে নামানো হয়।
[আরও পড়ুন: টাক মাথায় গজাবে চুল! দূর হবে খুশকিও, চুলের যত্নে ঘিয়ের ম্যাজিক]
তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ”খারাপ আবহাওয়া নয়, আমার বিমানটির সামনে অন্য একটি বিমান এসে গিয়েছিল। তাই পাইলট বিমানটি নামিয়ে নিয়ে রক্ষা করেছে।”