গোবিন্দ রায়: টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) উপর ভরসা একেবারেই হারিয়েছেন, তা স্পষ্ট বোঝালেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার টেট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তুষ্ট বিচারপতির মন্তব্য, ”আমাকে তো দেখছি সিবিআইয়ের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা MI5-এর উপর ভরসা করতে হবে।” ঠিকমতো কাজ না করলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালত কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিটের (SIT) অপসারিত তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের বদলে এখনই কাউকে নিয়োগ করতে চান না তিনি। এছাড়া টেটের অতিরিক্ত প্যানেল নিয়ে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
অতিরিক্ত প্যানেলের বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থার প্রতি তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর এত প্রেম কেন? তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন সিবিআইকে। ৭ দিনের মধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তাঁর মন্তব্য, ”এখন কি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমাকে যেতে হবে?” এছাড়া অপসারিত তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে নিয়ে তিনি রীতিমতো রাগত সুরে বলেন, ”কোনও সরকারি সংস্থায় কাজ করার উপযুক্ত নয়। সিবিআইকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব সিবিআই আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ আমি দেব। তারপর দেখছি।”
[আরও পড়ুন: এক ব্যক্তির একাধিক আসনে লড়তে অসুবিধা নেই, মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশিত হল না? প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে এদিন প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী জানান, ”পর্ষদের Confidential Section দ্বারা পাঠানো ৮ টি প্যানেল আমরা পেয়েছি, কিন্তু এগুলির কোনওটাই অতিরিক্ত প্যানেল নয়। তৎকালীন সভাপতি এ বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”