সুব্রত বিশ্বাস: কলকাতার করিডোর শিয়ালদহ স্টেশনে ফিরে এলেন হকাররা (Hawker)। রবিবার শিয়ালদহ স্টেশনের ভিতরে বেঞ্চ, বাক্স, শোকেস নিজেদের জায়গায় রেখে তাঁরা ফিরে আসার বার্তা দেন।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধর্মই হাতিয়ার, এবার ‘জয় শ্রীরাম’-এর পালটা তৃণমূলের ‘তথাস্তু’]
সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনে এসে হকারদের বসতে দেওয়া ও কাজ করতে দেওয়ার দাবি জানান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী দোলা সেন। কোভিড(COVID-19) পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে স্টেশনে হকার নিষিদ্ধ করেছিল রেল। একই পরিস্থিতিতে এবার শিয়ালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে হকার বসে যাওয়ায় দায় এড়াল সংস্থাটি। ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “এটা রাজ্যের বিষয়। হকার বসবে, না হঠবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “লোকাল ট্রেন চলায় করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। এটা রাজ্য-রেল বৈঠকে জানিয়েছেন রাজ্যের কর্তারা।” অর্থাৎ ডিআরএম ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ট্রেনের খোলামেলা পরিবেশে সংক্রমণ ছড়ায় না।
এদিকে, রেল হকার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাপি ঘোষ বলেন, “শিয়ালদহে বারোশ হকার আমাদের সংগঠনের সদস্য। তাঁরা কাজ শুরু করেছেন বহু মাস বাদে। সব জায়গায় সব খুলে গিয়েছে। শুধু হকাররি বন্ধ।” এদিন হকারি করতে দেবার দাবিপত্র স্টেশন কতৃপক্ষের কাছে জন্য দেন তাঁরা। উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর আবহে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছিলেন রাজ্যের কয়েক হাজার হকাররা। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে হকারি করতে না পেরে অনাহারে শিলিগুড়িতে এক রেল হকার গায়ে আগুন দিয়ে মারা যান। টিটাগড় স্টেশনে বীজের দোকানে গলায় দড়ি দেন এক হকার। মথুরাপুরে গলায় দড়ি দেন আরও এক হকার। চরম দারিদ্রতার শিকার হয়ে যখন হকারদের এই পরিস্থিতি, তখন হকারির নামে ব্যবসা ফেঁদে ফ্ল্যাট, গাড়ি, সম্পদের মজা নিচ্ছেন তথাকথিত এক শ্রেণির ‘ভুয়ো’ হকার। এহেন পরিস্থিতিতে, আনলক পর্বে লোকাল ও দুরপলার ট্রেন পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন তাঁরা।