রমেন দাস: ২৪ ঘণ্টা পার, এখনও হাসপাতালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Jadavpur University VC)। ওঠানামা করছে রক্তচাপ। চলছে স্যালাইনও। শরীর এখনও দুর্বল, ভাস্কর গুপ্তর বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

বুধবার রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। এমআরআই করা হয়েছিল তাঁর। সেই রিপোর্ট এসেছে আজ। তাতে নতুন করে কোনও হ্যামারেজ পাওয়া যায়নি। তবে এখনও রক্তচাপ ওঠানামা করলেও দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ভাস্করবাবুর ডিহাইড্রেশনের সমস্যা ছিলই। তাই গতকাল থেকেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। আজ মাত্রা কমানো হলেও চলছে স্য়ালাইন। দুর্বলও রয়েছেন। আপাতত বিশ্রামের থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, কোনওরকম মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। চিন্তা করা চলবে না। তবে কবে ভাস্কর গুপ্তকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত এসএফআই নেতা অভিনব বসু জানিয়েছেন, "উপাচার্য তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করছি। তবে যতদিন না ওঁ ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না, ততদিন উপাধ্যক্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলুক।"
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির পর থেকেই বাড়িতে ছিলেন উপাচার্য। জানিয়েছিলেন, শরীর ভালো নেই। গত কয়েকদিন ওঠানামা করছিল রক্তচাপ। ভাস্করবাবুর আগেও স্ট্রোক হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই যখন রক্তচাপ বাড়তে থাকায় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। এদিন বাড়িতে এসে পারিবারিক চিকিৎসক তাঁকে চেক আপ করেন। ডাক্তারই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্যের স্ত্রী কেয়া গুপ্ত, পেশায় চিকিৎসক জানিয়েছিলেন “প্রচণ্ড প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল। ভোররাতে অবস্থা ঠিক ছিল না। ওষুধ দিই, তারপর তড়িঘড়ি এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আছেন। অত্যন্ত মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা হচ্ছে। যা ঘটছে, যা হচ্ছে, সেই কারণেই এই চাপ।”