সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই নিজের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP) সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati)। নিজের ভাইপো আকাশ আনন্দকেই সেই দায়িত্ব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে নানা প্রতিক্রিয়া মিলছে। বাংলার শাসকদলও এনিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ”মায়াবতীজির সিদ্ধান্ত তাঁদের নিজেদের দলের ব্যাপার। তবে তিনি নতুন প্রজন্মকে তুলে আনতে চাইলেন, সেই প্রতিনিধিকে অভিনন্দন বা স্বাগত জানাই। আশা করি, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে কাজ করবে।”
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে সংগঠন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মায়াবতী। দলীয় বৈঠকে বিএসপি সুপ্রিমো ঘোষণা করে দিয়েছেন, এবার থেকে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড ছাড়া তাঁর দলের সব রাজ্যের কাজকর্ম দেখবেন তাঁর ভাইপো আকাশ আনন্দ। এমনিতে বিএসপি জাতীয় দল। তবে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বাইরে প্রভাব সীমিত। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাবের মতো কিছু রাজ্যে বিএসপির প্রভাব থাকলেও সেসব জায়গায় কমজোর সংগঠন। আপাতত ওই রাজ্যগুলিতেই সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্ব পড়ছে আকাশের উপর।
[আরও পড়ুন: একই দিনে জোড়া মরণোত্তর অঙ্গদান, নয়া নজির কলকাতায়]
বিএসপি সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্তে দলের অনেকেই খুশি নন। শুরু হয়েছে সমালোচনা। তৃণমূল অবশ্য মায়াবতীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”মায়াবতীজি কী সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটা তাঁদের বহুজন সমাজবাদী পার্টির নিজেদের ব্যাপার। তা নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে উনি যে নতুন প্রজন্মকে এভাবে এগিয়ে দিতে চাইছেন, তাকে স্বাগত জানানো যেতেই পারে। এখন তো নতুন প্রজন্মকেই কাজ করতে হবে। তাঁদের গাইড করার জন্য অবশ্যই মায়াবতীজি ও দলের অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতারা থাকবেন। কিন্তু রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে যুব প্রজন্মকেই। আশা করি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে কাজ করবে।”
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে ৩০০ কোটি! রাহুল গান্ধী জবাব দিন, তোপ নাড্ডার]
উল্লেখ্য, তৃণমূল (TMC) সর্বদা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল বলে দাবি করে। সেখানে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষের এই প্রতিক্রিয়া মায়াবতীর উত্তরসূরির সঙ্গে দলের সুসম্পর্ক স্থাপন করারই বার্তা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।