রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রথমে ঠিক ছিল দুর্গাপুজোর মধ্যে রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। সেই সফর শেষ পর্যন্ত হয়নি। তবে সব ঠিক থাকলে কালীপূজোর আগেই শহরে পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৪ অক্টোবর রাজ্যের আসার কথা অমিত শাহর। এবারে শাহী সফরের উদ্দেশ্য মূলত দুটি। এক, সদস্য সংগ্রহ অভিযান তরান্বিত করা। দুই, উপনির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা।
দেশজুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চললেও আর জি কর ইস্যু নিয়ে রাজ্য নেতারা ব্যস্ত থাকায় রাজ্যে সদস্য সংগ্রহের কাজ থমকে। শাহী সফরে সেটা তরান্বিত হতে পারে। সূত্রের খবর, ২৪ অক্টোবরই দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মূলত দলের সদস্য সংগ্রহের কাজ দ্রুত গতিতে সারার লক্ষ্যেই বার্তা দেবেন অমিত শাহ। তবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সংগঠন ও আরজিকর ইস্যুতে আগামী রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতি দুই পদেই বদল আসন্ন। কিন্তু সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনওটাই হচ্ছে না। গত ১৬ অগস্ট দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ঘোষণা করেন। এর পরে ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। সেসময় রাজ্যের শীর্ষ নেতারা ফের দলের সদস্য হন। তবে সাধারণ সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজ এখনও অনেকটাই বাকি। শাহ সেই কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দলের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, সেটা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন রাজ্য নেতাদের সঙ্গে।
একই সঙ্গে আরও একটি বিষয়ে নজর থাকবে তাঁর। সেটা হল ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন। নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট, সিতাই। এই রাজ্যের এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৩ নভেম্বর। এবার যে ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটই রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি ৫ কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে। আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে এটাই প্রথম নির্বাচন। এতেই বোঝা যাবে আর জি করের কতটা প্রভাব জনমানসে পড়েছে। বিজেপিও এই উপনির্বাচনকে লোকসভার ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।