অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কলকাতা পুলিশের মতো এবার হাওড়া জেলাতেও পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে কনস্টেবল এমনকী হোমগার্ড, ট্রাফিকের ডিউটিতে পুলিশকর্মীদের ব্যবহার করতে হবে 'বডি ক্যামেরা'। হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে এমনই পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হল হাওড়ায়। রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা কীরকম, রাস্তায় সাধারণ মানুষের নানাবিধ অভিযোগ - এই বডি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এসব সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি এবার থেকে খতিয়ে দেখবে হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রথম পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হল হাওড়া ট্রাফিক গার্ড এলাকায়।
হাওড়া সিটি ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ডিউটির সময় পুলিশকর্মীদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ৮টি ট্রাফিক গার্ডেই এই নিয়ম মানা হয়। তবে এতদিন শুধুমাত্র এসআই, এএসআই, আইসি পদমর্যাদার আধিকারিকরাই বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। ডিউটি চলাকালীন প্রত্যেক মুহূর্তে ক্যামেরা অন রাখাও আবশ্যিক ছিল না। তবে ট্রাফিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এবার থেকে নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হল। কর্মরত পুলিশকে ২৪ ঘণ্টাই বডি ক্যামেরা অন রাখতে হবে। ডিউটি শুরু হওয়ার আগে ক্যামেরাটি ইউনিফর্মের সামনের অংশে লাগিয়ে সেটিকে অন করে দিতে হবে। ডিউটি শেষ হলে ক্যামেরাটি অফ করে ট্রাফিক গার্ডে জমা দিয়ে যেতে হবে। জমা দেওয়ার সময় খাতায় রেজিস্ট্রেশনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা হবে ট্রাফিকে কর্মরত ব্যক্তি দিনভর তাঁর দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন কি না। সাধারণ মানুষ মৌখিকভাবে কোনও অভিযোগ জানালে খতিয়ে দেখা হবে। হাওড়া ট্রাফিক গার্ডের পাশাপাশি ধাপে ধাপে দাশনগর, গোলাবাড়ি, বালি, ধূলাগড়, কোনা, হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু ট্রাফিক গার্ডেও চালু হবে এই নিয়ম। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তার কথায়, “পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে হাওড়া ট্রাফিক গার্ডে মোট ১২৫টি বডি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ৩০টি ক্যামেরা স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হচ্ছে। ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে রাখার জন্য স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"
