ফারুক আলম, বিধাননগর: মেসির সফর চলাকালীন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যুবভারতী! চলে ভাঙচুর। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল বিধাননগর কমিশনারেট। একাধিক ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। অন্যদিকে আজ রবিবার ধৃত শতদ্রু দত্তকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা আদালত চত্বরকে। লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আনার মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু। ঘটনার পরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিধাননগর দক্ষিণ থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। অশান্তি, ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো সহ ভারতী ন্যায় সংহতির ১৯২, ৩২৪ (৪)(৫), ৩২৬ (৫), ১৩২, ১২১ (২), ৪৫, ৪৬ এবং নাশকতামূলক কার্যকালাপ ছড়ানোর ও জনগনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত অভিযোগে এই মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহতির একাধিক ধারায় মামলা পুলিশ রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে যুবভারতীতে থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিকে ঘটনার পরেই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। আজ রবিবার তদন্ত কমিশন যুবভারতীতে যেতে পারে বলেও খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, ক্রীড়াপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শহরে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। গতকাল শনিবার তাঁর ঠাসা কর্মসূচি ছিল। কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবভারতীতে মেসি দর্শনে এসেছিলেন দর্শকরা। এমনকী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মেসিপ্রেমীরা নেতাজি ইন্ডোরে জোড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু যুবভারতীতে মেসি ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই বদলে যায় গোটা ছবিটা! দর্শকদের অভিযোগ, যুবভারতীতে ঢোকার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে ছিলেন ভিআইপিরা। সেই সংখ্যাটা কম করে ১০০ হবে। ফলে গ্যালারি থেকে ২০ মিনিট মেসিকে দেখাই যায়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে। শুরু হয় বোতল ছোঁড়া। দ্রুত মাঠে ছাড়েন মেসি এবং অন্যান্যরা। এরপরেই পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। যুবভারতী জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অন্যদিকে এহেন ঘটনার পরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শতদ্রু দত্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
