shono
Advertisement
Kasba

দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে 'খুন'! কসবায় আবাসনের পার্কিংয়ে উদ্ধার গৃহবধূর দেহ

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী সন্দেহে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে, উদ্ধার হয়েছে মারণাস্ত্র।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:10 PM Apr 24, 2025Updated: 04:38 PM Apr 24, 2025

অর্ণব আইচ: দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কসবা। বৃহস্পিবার দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ কসবার আর কে চ্যাটার্জি রোডের এক অভিজাত আবাসনের পার্কিং লট থেকে এক গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পাঠান নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী সন্দেহে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে, উদ্ধার হয়েছে মারণাস্ত্র।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এদিন দুপুর ১টার পর আর কে চ্যাটার্জি রোডের  এক অভিজাত আবাসনের বাসিন্দাদের নজরে পড়ে, এক বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা চিৎকার করতে করতে ছুটে আসছেন। কাছে আসতেই দেখা যায়, তাঁর পেটে ছুরি ঢোকানো। আবাসনের পার্কিং লটে এসেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, কেউ বা কারা তাঁকে খুন করেছে।  সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কসবা থানা এবং লালবাজারে। কসবা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছন লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকরা। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম রিনা মণ্ডল, বয়স ৩৩ বছর। তাঁর স্বামী জনার্দন মণ্ডলের বয়স ৩৬ বছর। বেশ কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য অশান্তি চলছিল তাঁদের মধ্যে। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা। তবে কি সেই ঘটনার জেরেই স্ত্রীকে খুন? নাকি অন্য কোনও কারণ? তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে,  ঘটনাস্থল থেকেই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী জনার্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনের অস্ত্রও। এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনার কিনারা করতে মরিয়া তদন্তকারীরা। মৃতদেহটি ময়নাদতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কসবার অভিজাত আবাসনে উদ্ধার গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ।
  • পেটে ছুরি বেঁধা অবস্থায় উদ্ধার দেহটি, গ্রেপ্তার স্বামী, বাজেয়াপ্ত মারণাস্ত্র।
  • গোটা ঘটনার তদন্তে লালবাজার হোমিসাইড শাখা।
Advertisement