নিরুফা খাতুন: ইডি জেরার মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি অর্পিতাকে তেমন চেনেন না। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে বেরিয়ে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। বললেন, “যা বলার ইডিকে বলেছি।” এদিনও হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা।
শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তবে এদিন হাসপাতালে প্রবেশের সময় সম্পূর্ণ নীরবই ছিলেন ‘অপা’। কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। শারীরিক পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বের হন তাঁরা। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অর্পিতা। ইডি জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “তিনি অর্পিতাকে তেমনভাবে চিনতেন না। অনেকেই তার কাছে আসত, সেইভাবেই চেনা।” সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্পিতা বললেন, “যা বলার ইডির কাছে বলেছি।” এরপরই কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। তবে পার্থ কোনও মন্তব্য করেননি। ইতিমধ্যেই অর্পিতা ও পার্থকে নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের পথে রওনা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘তেমনভাবে চিনি না, নাকতলার পুজোয় দেখেছি’, অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ‘অস্বীকার’ পার্থর]
ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র জানিয়েছেন, আজ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের আরজি জানানো হবে। পাশাপাশি জেলে যাতে ইডি আধিকারিকরা জেরা করতে পারেন, সেই আবেদনও জানানো হবে। কারণ, এসএসসি দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে পার্থ-অর্পিতার থেকে আরও তথ্য প্রয়োজন বলেই দাবি তদন্তকারীদের। শোনা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হতে পারে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। অর্পিতার ঠিকানা হতে পারে আলিপুর মহিলা জেল।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের ২৩ তারিখ গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওইদিনই প্রথমে আটক পরে গ্রেপ্তার করা হয় অর্পিতা। তারপর থেকে ইডি হেফাজতে দুজনে।