অর্ণব আইচ: ধৃত JMB লিংকম্যান লালু সেন (Lalu Sen) ওরফে রাহুলকে জেরা করে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য পেল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। লালু মূলত জঙ্গিদের ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়া এবং আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করত। সেক্ষেত্রে লালু ঠিক কতজনকে এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের নজরে লালুর স্ত্রীর ভূমিকাও। লালুর স্ত্রী আদৌ তার স্বামীকে জঙ্গি কার্যকলাপে সহায়তা করত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের STF লালুকে জেরা করে মোট ২২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যকে JMB লিংকম্যান লালু টাকা আদানপ্রদান করত বলেই খবর। এছাড়াও তার কাছ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসত বলে আগেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভারতে জঙ্গিদের গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করত সে। তৈরি করে দিত ভুয়ো পরিচয়পত্র। ঠিক কতজনকে এভাবে লালু বাংলায় ঢুকতে সাহায্য করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও লালুর স্ত্রীর গতিবিধির দিকে নজর রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে লালুর স্ত্রী সাথী সেন বাংলাদেশের বাসিন্দা। সে পেশায় বাংলাদেশের আইনজীবী। সেই সূত্রে একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছে লালু। তার স্ত্রী সাথী স্বামীকে সম্পূর্ণরূপে জঙ্গি কার্যকলাপে সহায়তা করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ: আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু Online Counselling]
এছাড়াও JMB’র ডাকাতি গ্যাংয়ের প্রধান আনোয়ার আলি ওরফে হৃদয়ের সঙ্গেও লালুর যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, মাসদুয়েক আগে হৃদয় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এসেছিল। সেই সময় প্রায় সপ্তাহখানেক লালুর বাড়িতে ছিল সে। পরে যদিও কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসে হৃদয়ের কাছে। তারপরই সে সোজা বাংলাদেশে চলে যায়। কে ফোন করেছিল তাকে, ঠিক কী কথোপকথন হয়েছিল হৃদয়ের তা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছে। হৃদয় তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং আইপ্যাডটি ফেলে যায় লালুর বাড়িতে। সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে তদন্তকারীরা।