স্টাফ রিপোর্টার: ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) নামে উদ্যান ও মূর্তি স্থাপন করছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। শুধু তাই নয়, বাংলার দুই প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) এবং প্রবাদপ্রতিম চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথের (Narayan Debnath) নামেও তিনটি উদ্যান নির্মাণ করছে পুরপ্রশাসন। দোলপূর্ণিমার আগেই লতা মঙ্গেশকরের মূর্তি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে পার্কগুলি উদ্বোধন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার পুরসভার অধিবেশনে জানান মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
পাটুলির বি-ব্লকে লতা মঙ্গেশকরের মূর্তি বসিয়ে অত্যাধুনিক পার্ক চালু হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর উদ্যোগে লতা মঙ্গেশকরের পাশাপাশি অন্য তিনটি উদ্যানও নির্মাণের কাজ জেট গতিতে চলছে। মূর্তি তৈরির কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। বিশেষ করে নারায়ণ দেবনাথের নামের উদ্যানের দেওয়ালে ‘হাঁদা-ভোঁদা’ ও ‘বাঁটুল দি গ্রেট’ ছবি ফুটে উঠছে বলে পুরসভার দাবি।
[আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে কী মত ভারতের কমিউনিস্টদের? বিবৃতি দিল সিপিএম]
উল্লেখ্য, লেকগার্ডেন্সে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে তাঁরই নামে রাস্তা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলা তথা বাঙালির প্রায় ৩০০ বছরের শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও মেধার নানা দিক নিয়ে সংগ্রহশালা এবং গবেষণাগার তৈরি করা হচ্ছে। টাউনহলের ওই বিভাগে কবি জয়দেব, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, বামাক্ষ্যাপা, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে জয় গোস্বামীর সৃষ্টি ও বিষয় থাকবে।
আলি আকবর, রবি শংকর, অজয় চক্রবর্তীদের সুরসাধনার নানা দিক সম্পর্কে জানা যাবে। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার প্রায় দু’বছর বাদে পুরসভার কাউন্সিলর চেম্বারে এদিন নয়া পুরবোর্ডের তৃতীয় মাসিক অধিবেশন বসে। সভায় বরো চেয়ারম্যান রত্না শূর লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নামে উদ্যান ও সরণি করার প্রস্তাব দেন।
এমন সাংস্কৃতিক প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের নাম বদলে সংগীত সরণি করা হয়েছে। বসেছে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শচীন দেববর্মন, রাহুল দেববর্মনদের মূর্তি।” অধিবেশনে বিজেপি-সহ বিরোধীদের হাজির না থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।