shono
Advertisement

অ্যালার্জির কারণে নেননি টিকা, মাত্র ৪০ বছরেই করোনায় প্রয়াত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

সময়মতো টিকা নিলে এই পরিণতি হয়তো হত না চিকিৎসকের।
Posted: 07:42 PM May 28, 2021Updated: 09:34 PM May 28, 2021

অভিরূপ দাস: করোনার (Corona Virus) বিষাক্ত ছোবলে ফের প্রাণ হারালেন এক চিকিৎসক। মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রয়াত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেশমি খাণ্ডেলওয়াল (Dr. Rashmi Khandelwal)। টানা ১০দিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরুণী ডাক্তার।

Advertisement

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পাশ করেছিলেন রেশমি খাণ্ডেলওয়াল। তারপর মেডিক্যাল কলেজ থেকে MD করেন। কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমের নামকরা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। করোনা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে হলেও টিকা নেননি ডা. রেশমি খাণ্ডেলওয়াল। কারণ অ্যালার্জি জনিত সমস্যা ছিল তাঁর। সেই ভয়েই তিনি কোভিড (COVID-19) টিকা নেননি তিনি। মাত্র ৪০ বছর বয়সে রেশমি খাণ্ডেলওয়ালের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের (West Bengal Doctors Forum) আহ্বায়ক রাজীব পাণ্ডে। তাঁর আক্ষেপ, “সময়মতো টিকা নিতে পারলে হয়তো রেশমি খাণ্ডেলওয়ালের এমন পরিণতি হত না।”

[আরও পড়ুন: বৃদ্ধ মা-বাবাকে করোনা টিকা দেওয়ার আবেদন নিয়ে জেলা প্রশাসনকে চিঠি ডাক্তারদের]

উল্লেখ্য, এর আগে জানানো হয়েছিল, সাধারণ অ্যালার্জিগুলি মানুষের থাকে যেমন, অল্পতেই সর্দি-কাশি হওয়া, কিছু খেলে গা-হাতে র‌্যাশ, চুলকানি, ধুলোতে অ্যালার্জি থাকলে একজন স্বছন্দে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নিতে পারেন। তাতে কোনও ভয় নেই। শুধু ভ্যাকসিনেটরকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অ্যালার্জির কথা জানাতে হবে। আর তা বাধ্যতামূলক।

জানা গিয়েছে, ‘আর্টিক্যারিয়া’ (Urticaria) অ্যালার্জি ছিল ডা. রেশমি খাণ্ডেলওয়ালের। যাতে সারা গায়ে চাকা চাকা হয়ে যায় এবং প্রবল চুলকানি হয়। অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডা. আরাত্রিকা দাস জানান, সিভিয়ার ‘আর্টিক্যারিয়া’ হলে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব নয়। যদি নিতেও হয় তাহলে খুব বড় মাপের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আগে অ্যালার্জির প্রকোপ কমানোর জন্য ওষুধ খেতে হবে। তবে তাতেও বিপদ থেকে যায়। রেশমি খাণ্ডেলওয়ালের এই অ্যালার্জি কতটা সিভিয়ার ছিল সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসককে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সন্তান নেই ডা. রেশমি খাণ্ডেলওয়ালের। স্ত্রীকে হারিয়ে ভারাক্রান্ত প্রশান্ত খাণ্ডেলওয়াল। করোনা যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৪০ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ চিকিৎসকরা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন তরুণ ডাক্তাররাও। তার পাশাপাশি একের পর এক চিকিৎসকের সংক্রমণে চিন্তিত চিকিৎসা মহল।

[আরও পড়ুন: ‘আমার শরীর যেন করোনা গবেষণার কাজে লাগে’, দেহদান করে গেলেন বাম নেত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement