স্টাফ রিপোর্টার: পোকা ভেবে চিবিয়ে ফেলাতেই বিপত্তি। বন্ধ সেফটিপিন খুলে আটকে যায় চারমাসের গোল্ডির (গোল্ডেন রিট্রিভার) গলার মধ্যে! এবার উপায়? গোল্ডির অবস্থা তখন সাংঘাতিক। মুখ থেকে লালা ঝরছিল অনবরত। বমি বমি ভাব। তড়িঘড়ি গোল্ডিকে নিয়ে দেশপ্রিয় পার্কের অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজি ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যেতেই বাঁচল প্রাণ।
বাটানগরের বাসিন্দার স্বর্ণালী দাসের চারপেয়ে সন্তান গোল্ডি। দিনভর ছোটাছুটি করছে, যা পারছে চিবোতে শুরু করছে। সেভাবেই মুখে নিয়ে নেয় সেফটিপিন। মানুষ কিছু গিলে ফেললে হাসপাতালে তা বের করা যায়। পশুদের জন্য? অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজি ল্যাবের অধিকর্তা প্রতীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পূর্ব ভারতে এই প্রথম বাংলায় চারপেয়েদের জন্য এন্ডোস্কোপিক ফরেন বডি রিমুভাল চালু করেছে অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজি ল্যাব। শহরে সিংহভাগ পশু হাসপাতালে সাধারণ অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু দূরন্ত গোল্ডেন রিট্রিভারের সে অস্ত্রোপচার করা ছিল ঝঞ্ঝাটের। চিকিৎসকদের কথায়, "সাধারণ মানুষের অস্ত্রোপচার যত সহজে করা যায় সারমেয়র ক্ষেত্রে তা হয় না। সাধারণ অস্ত্রোপচারে স্টিচ করতে হয়। স্টিচ করা জায়গা নড়াচড়া করা বারণ। কিন্তু সারমেয়কে তাকে বোঝাবে!" প্রায়শই স্টিচ ছিঁড়ে যায় তাদের। তাতে পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হয়।
চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, যেভাবে ছোট শিশুর শ্বাসনালি থেকে সেফটি পিন, পেনের ঢাকনা বের করা হয়। সেই পদ্ধতিতেই সারমেয়র পেট থেকে বের করা হবে ওই সেফটি পিন। কী সেই পদ্ধতি? এন্ডোস্কপিক ফরেন বডি রিমুভাল একটি নন-সার্জিকাল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি ফ্লেক্সিবল এন্ডোস্কোপ কুকুরের মুখ দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। এই নলের সামনে একটি ক্যামেরা থাকে।” চিকিৎসকের সামনে স্ক্রিনে দেখা যায় পেটের ভেতরের সম্পূর্ণ ছবি। এই পদ্ধতিতে সারমেয়র পেটের ভিতর থেকে বের করা হয় সেফটিপিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুকুরের খাদ্যনালি, পাকস্থলী বা অন্ত্রে কিছু ফরেন বডি আটকে গেলে সমস্যা দেখা যায়। কুকুর মুখে কী দিল তা খেয়াল রাখবেন।
