অর্ণব আইচ: রক্ষকই ভক্ষক! মৌলালির পর এবার একবালপুর (Ekbalpur)। ফের টাকা লুঠের অভিযোগে গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল, এক সিভিক ভলান্টিয়ার্স-সহ মোট ৬ জন। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহম্মদ আরবাজ ও তাঁর সঙ্গী গুলরেজ খান বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ব্য়বসার ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে টাকা জমা করার ডিপোজিট স্লিপ ও দু’টি চেক ছিল। আমচকাই পৌনে ১১টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার রোড়ে তাঁদের স্কুটি থামানো হয়। ব্যাগে কী রয়েছে তা তল্লাশি করে দেখতে চান দুই পুলিশি কর্মী। এররক তাঁদের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে দুই পুলিশকর্মীর সঙ্গে আরও দুজন যোগ দিয়েছেন। তাঁরাও নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। অভিযোগ, টাকার ব্যাগ লুট করে আরবাজ ও গুলরেজকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে চম্পট দেয় তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কোচবিহারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা, কাঠগড়ায় TMC]
এরপর আরবাজ ও গুলরেজ একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে আতঙ্কে পুরো বিষয়টি জানাতে পারেননি। পরে তাদের ব্যবসার মালিক এসে থানায় গিয়ে বিস্তারিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের কয়েকঘণ্টার মধ্যে দুই কনস্টেবল-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কনস্টেবল প্রভাত বেরা, কনস্টেবল স্বপনকুমার বিশ্বাস, সিভিক ভলান্টিয়ার্স টোটন শেখ ও শেখ চাঁদকে গ্রেপ্তার করে একবালপুর থানার পুলিশ। পরে ধৃতদের জেরা করে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে মৌলালি এলাকাতেও একরকমই একটি ঘটনা ঘটে। সেখানেও ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় পুলিশ কর্মী। বারবার একই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।