অর্ণব আইচ: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোই চ্যালেঞ্জ। গ্রিন করিডর করে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের ইন্সস্পেক্টর। তাঁর এহেন উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুলিশকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছাত্রী।
ঠিক কী হয়েছিল? শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১১টা ২০মিনিট। স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী। তিনি দেখেন স্কুলের পোশাক পরা একজন কিশোরী কাঁদছে। ট্রাফিক গার্ডের ওসির কাছে সাহায্য চায় পড়ুয়া। তাকে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, কিশোরী চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সে নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা। তার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে।
[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]
পরিবারের সকলে দাদুর শেষকৃত্যে ব্যস্ত। তাই এদিন একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে সে। শোকের দিনে বাড়ি থেকে বেরতে খুব দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব। তা বুঝতে পেরে কাঁদতে শুরু করে। সাহায্যের আশায় এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে শুরু করে। সমস্যা শোনার পর আর এক মিনিটও সময় নষ্ট করেন ইনস্পেক্টর। কিশোরীকে গাড়িতে তুলে নেন। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করেম ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয়। তখন কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়। সবে খুলেছে স্কুলের দরজা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোয় মুখে হাসি ফোটে তার। কিশোরীকে বেস্ট অফ লাক জানিয়ে ফের নিজের কাজে যোগ দেন ইন্সস্পেক্টর।
