নিরুফা খাতুন: জাদুঘর-কাণ্ডের (Indian Museum Shoot Out) আতঙ্কে অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। রাজ্য বিজেপির চুনোপুঁটি নেতাদের নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেই একদিকে বাহিনীর উপর যেমন চাপ পড়ছে, তেমনই বিঘ্নিত হচ্ছে অন্যান্য জায়গার নিরাপত্তা। অভিযোগের তির তাঁদের দিকে যাওয়ায় অস্বস্তিতে রাজ্যের বিজেপি (BJP) বিধায়ক ও নেতারা। তাঁরা পালটা বলছেন, এই জওয়ানদের কাউন্সেলিং করার প্রয়োজন।
শনিবার জাদুঘরে সিআইএসএফ (CISF) বারাকে গুলি চালানোর ঘটনা তখন সদ্যই ঘটেছে। খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। উলটোদিকে বিধায়ক আবাসেই ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। দ্রুত নেমে এসে দেখেন আবাসের গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উলটোদিকে ভিড় জমে গিয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে জানতে পারেন ঘটনা। বেরতে চেয়েও পারেননি। বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল তাঁকে। ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে গেটের ভিতরে দাঁড়িয়েই বলেন জওয়ানদের মানসিক পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত। বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। ছুটি চেয়ে ছুটি মিলছে না।
[আরও পড়ুন: জাদুঘরে গুলি: সামান্য বচসা নাকি টার্গেট কিলিং, পার্ক স্ট্রিটের বার্স্ট ফায়ারের কারণ কী?]
কেন্দ্রীয় সরকার ও তার প্রশাসনের কাছে উদ্বিগ্ন সুমনের আরজি, “এই জওয়ানদের কোনও মানসিক সমস্যা থাকলে কাউন্সেলিং করানো উচিত। পার্ক সার্কাসে এর আগেও এমন ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কেন এমন করছেন!” তাঁর কথায়, “ওই জওয়ান শুনলাম ছুটি চেয়েছিল। দেওয়া হয়নি। কেন এমন হবে তা দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রশাসন থেকে সরকার এটা নিয়ে ভাবুক।”
ঘটনার সময় এমএলএ হোস্টেলে তৃণমূলের একাধিক বিধায়কও সেখানে ছিলেন। কাউকেই বেরতে দেওয়া হয়নি। মালদহের হবিবপুরের আর এক বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু দলের রাজ্যদপ্তর থেকে জরুরি বৈঠক সেরে সেই সময়ই ফিরছিলেন। সে সময়ই এই কাণ্ড দেখে হকচকিয়ে যান তিনিও। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা তাঁকে দ্রুত বিধায়ক আবাসে পৌঁছে দেন। বিজেপির রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ বলেই নেতাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন হচ্ছে। এরজন্য রাজ্য সরকারই দায়ী।’’