সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসেই বিধাননগরে পুরভোট। তার আগে সল্টলেকের (Salt Lake) নয়াপট্টির ডাস্টবিনে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। জখম ২ শিশু। তারা বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান বিধায়ক সুজিত বসু।
বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপট্টিতে বেশ কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। আচমকাই ডাস্টবিনে বিস্ফোরণ হয়। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে প্রায় গোটা এলাকা। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন বিস্ফোরণে দু’জন শিশু জখম হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতায় একজনের চুল পুড়ে গিয়েছে। আরেকটি শিশুর গাল লাল হয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে শিশুদের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দু’জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন রুখতে আদৌ সক্ষম করোনার টিকা? কী বলছেন WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী?]
ওই ডাস্টবিনে কেন বিস্ফোরণ হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের STF ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ কুকুর দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুরনো ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নমুনা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পুরনো ব্যাটারি ফেটে এই কাণ্ডটি ঘটেছে। তবে কে বা কারা পুরনো ব্যাটারি ডাস্টবিনে ফেলে গেল, তা এখনও জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, ডাস্টবিন দীর্ঘদিন ধরেই অপরিষ্কার হয়ে থাকে। এছাড়া ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বলেও দাবি তাঁদের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাস্টবিন পরিষ্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ডাস্টবিন পরিষ্কার হলে এলাকায় দু’জন শিশুকে খেলার মাঝে জখম হতে হত না বলেই মনে করছেন তাঁরা। এদিকে, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক সুজিত বসু (Sujit Basu)। তিনি বলেন, “ডাস্টবিন পরিষ্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে ঠিকই। তবে তা পরিষ্কার করা কর্পোরেশনের দায়িত্ব। দেখে নিচ্ছি।” আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগরে পুরভোট। তার আগে বিস্ফোরণের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, সে বিষয়েও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। তবে বিধায়কের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।