সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১২ নভেম্বর ময়দানকে রাজনীতিমুক্ত করার উদ্দেশে যে তথাকথিত অরাজনৈতিক সভার ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটার নেপথ্যেও রয়েছে বামপন্থীরাই। সোশাল মিডিয়ায় সরাসরি অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ওই তথাকথিত অরাজনৈতিক সভা ভরাতে নিজেদের লোকজনকে এগিয়ে দিতে চাইছে সিপিএম। এমনকী আলাদা করে সেই সভার প্রস্তুতিও নিচ্ছে বামেরা।
নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র সমর্থনে ময়দানের তিন প্রধানের কর্তাদের বিবৃতি নিয়ে জলঘোলা চলছেই। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের কর্তাদের বিবৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই 'গেল গেল' রব তুলে মাঠে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সোশাল মিডিয়ায় প্রচার, ছোটখাটো প্রতিবাদ কর্মসূচিও চলছে। এসবই হচ্ছে 'অরাজনৈতিক' ব্যানারে। যদিও শাসকদলের অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে বাম এবং বিজেপির হাত। এসবের মধ্যে শোনা যাচ্ছে, আগামী ১২ নভেম্বর গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে একটি অরাজনৈতিক সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় সেটার প্রচারও চলছে। কুণালের অভিযোগ, ওই সভা ভরাতেও কমরেডদের পাঠাতে চায় সিপিএম।
সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা লিখছেন, "সূত্রের খবর, ময়দান রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়ে ১২ নভেম্বর গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে যে 'অরাজনৈতিক' সভার প্রচার ফেসবুকে হচ্ছে, তার প্রস্তুতিতে আজ শনিবার দুপুর একটায় সিপিএমের কলকাতা জেলা দপ্তর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে একটি জরুরি ও গোপন বৈঠকের আয়োজন হয়েছে। সিপিএমের পতাকা ছাড়া, তিন প্রধানের জার্সি পরিয়ে কিছু কমরেডকে ঐদিন হাজির করার চেষ্টা চলছে।" কুণালের দাবি, ওই বৈঠকে ফৈয়াজ আহমেদ খান-সহ কিছু নেতা থাকার কথা। থাকবেন হেদুয়া -সহ দুচারটি এলাকার সিপিএম সংগঠকরা। তৃণমূল নেতা সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করেন, ১২ নভেম্বরের ওই অরাজনৈতিক সভায় সঙ্গে থাকার জন্য বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার কিছু নেতার সঙ্গেও কথা বলছেন সিপিএম নেতারা।
বামেদের তীব্র কটাক্ষে বিঁধে কুণালের খোঁচা, "যে সিপিএমের একাধিক বড় নেতা ইস্টবেঙ্গল-সহ বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনের পদে ছিলেন, তারা এখন ছদ্মবেশে ময়দান অরাজনীতিকরণের কথা বলছে। সিপিএম অফিসে বসে সিপিএমের নেতা ও ক্যাডাররা, যাঁরা একসময়ে ময়দানে নানা পদে, তাঁরা আজ নাটকের কোন্ চিত্রনাট্যের খসড়া করেন, সেটা ভারি বিনোদনের বিষয়।" অরাজনীতির কর্মসূচি নিয়ে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির অফিসে বৈঠক। পুরো বিষয়টিকে 'রোমাঞ্চকর' আখ্যা দিয়েছেন কুণাল।