অর্ণব আইচ: অনলাইনে রেলের টিকিটের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার নাম করে নয়া পদ্ধতিতে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime)। নিজেদের আইআরসিটিসি-র কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক মহিলার কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। জালিয়াতরা যে রেলের সংস্থার ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে জালিয়াতি করত, সেই তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব কলকাতার (Kolkata) বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ জানান, তিনি অনলাইনে (Online) রেলের টিকিট কাটার চেষ্টা করছিলেন। বিফল হয়ে আইআরসিটিসির (IRCTC) ওয়েবসাইটে গিয়ে রেলের টিকিট কাটার প্রস্তুতি নেন। সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে রেলের ওই সংস্থার একটি ওয়েসবাইট খুঁজে পান। তিনি লক ইন করতে গিয়ে একটি হেল্পলাইন দেখতে পান। বলা রয়েছে, ওই হেল্পলাইনে ফোন করলে তাঁকে সবরকম ফোন করা হবে। তিনি ওই হেল্পলাইনের নম্বরে ফোন করতেই তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদিক কফ সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিক! কাশির ওষুধ খেয়ে গুজরাটে মৃত অন্তত ৫]
এর পর তাঁকে একটি অ্যাপ (App)ডাউনলোড করতে বলে জানানো হয়, ওই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁকে টাকা মেটাতে হবে। অভিযোগকারিণী ওই মহিলা বুঝতেও পারেননি যে, ওই ওয়েবসাইটটি জাল। সাইবার জালিয়াতরা তাঁর অজান্তে তাঁকে দিয়েই মোবাইলে (Mobile) মিরর অ্যাপ ডাউনলোড করায়। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তাঁর মোবাইল। এর পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে তারা। অনলাইনে মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতরা ২৬ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা তুলে নেয়।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানি নেতাকে খুনের পরিকল্পনায় শামিল ভারতীয় কূটনীতিক! মার্কিন অভিযোগে ক্ষুব্ধ দিল্লি]
এই ব্যাপারে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ এই জালিয়াতি চক্রের দুই মাথা মহম্মদ জাকির ইকবাল ও সরফরাজকে আনন্দপুরের (Anandapur) চৌবাগা থেকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জেরা করে আরও ৬ জনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।