সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন বাদে কলকাতার বুকে যৌথ কর্মসূচি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের। বামফ্রন্টের ডাকা মিছিলে অংশগ্রহণ করল কংগ্রেস। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই মিছিলের ডাক দিয়েছিল রাজ্য বামফ্রন্ট। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মিছিলে শামিল হল কংগ্রেসও।
এদিন রামলীলা ময়দান থেকে-পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেন বিমান বসুরা (Biman Basu)। শুক্রবার এই কর্মসূচি ঘোষণার সময় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সব দলকে মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দেয় কংগ্রেস। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর থেকে কংগ্রেসের একটি মিছিল এসে বামেদের সঙ্গে যোগ দেয়। যৌথভাবেই মিছিলে হাঁটেন বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। মিছিলে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্রর মতো বাম নেতারা ছিলেন। তুলনায় কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের সেভাবে দেখা যায়নি। কংগ্রেসের তরফে মিছিলে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র-সহ কলকাতার নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: খুশির হাওয়া কুনো জাতীয় উদ্যানে, চার শাবকের জন্ম দিল নামিবিয়া থেকে আসা চিতা]
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারিভাবে আসন সমঝোতা হয়েছিল দুই শিবিরের। সাফল্য আসেনি। তারপর বাম-কংগ্রেসের সেই সমঝোতা ভেঙে যায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সেই সমঝোতা পুরোপুরি কাজে লাগেনি। বাম-কংগ্রেসের (Congress) সবচেয়ে সম্ভাবনাময় আসনগুলিতেই সমঝোতা সফল হয়নি। একুশের বিধানসভার আগে ফের কাছাকাছি আসেন বিমান বসু-অধীর চৌধুরীরা (Adhir Ranjan Chowdhury)। এবারেও আসন সমঝোতা হয়। কিন্তু রাজ্যে শূন্য হয়ে যায় বাম-কংগ্রেস। ফের দূরত্ব বেড়ে যায় দুই শিবিরের।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতে CAA চালুর দাবি বঙ্গ বিজেপির, সবুর করার বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]
তবে সদ্য সাগরদিঘির উপনির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখেছে বাম-কংগ্রেস জোট। তৃণমূলের গড় সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের (Bairon Biswas) অপ্রত্যাশিত জয় নতুন করে যেন জোটের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দিয়েছে দুই শিবিরের নেতাদের। সাগরদিঘির ফলাফলের পর থেকেই রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেসের নেতাদের অনেক চাঙ্গা মনে হচ্ছে। তবে, সেই সাফল্যের পরও কলকাতায় যৌথ কর্মসূচি দেখা যায়নি দুই শিবিরের। ফের একসঙ্গে দেখা গেল দুই শিবিরকে।