বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) দপ্তরের সামনে বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মীদের ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার-সহ বামফ্রন্টের একাধিক শীর্ষনেতাকে আটক করা হয়েছে। আটক বেশ কয়েকজন বাম কর্মীও।
হাওড়ায় দ্রুত পুরভোট (Municipal Election), কলকাতা পুরভোটে বেনিয়মের পরও ব্যবস্থা না নেওয়া, ১৭টি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি না মানা-সহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল বামেদের। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, প্রবীণ সিপিএম (CPM) নেতা রবীন দেব, আরএসপির (RSP) সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য-সহ একাধিক বাম নেতা।
[আরও পড়ুন: এবার কলকাতা মডেল! জট ছাড়িয়ে পুরভোটে কৌশলী জোটের পথে বাম ও কংগ্রেস]
এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে জমায়েত হওয়ার কথা ছিল বাম কর্মীদের। কলকাতা পুরভোটের ফলাফলে চাঙ্গা বাম কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কমিশন দপ্তরে জমায়েত শুরু করেন। কিন্তু পুলিশের তরফে তাঁদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই কোনও রকম মিটিং বা জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও বাম কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বেশ কিছু বাম নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
[আরও পড়ুন: উসকে উঠল পুরনো সংঘাত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় ফের ধারাবাহিক টুইট ধনকড়ের]
বামেদের অভিযোগ, শুরু থেকেই তাঁদের জমায়েতে বাধার সৃষ্টি করেছে পুলিশ। এদিন সকাল থেকেই তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ১৪৪ ধারার কথা একবারও তাঁদের জানানো হয়নি। পুলিশ নিন্দনীয়ভাবে কর্মীদের টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) অভিযোগ করেছেন, “রাজ্য সরকার নিজেই করোনা বিধি মানছে না। যেভাবে বামকর্মীদের ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে তোলা হয়েছে, তাতে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।” বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের দাবি, সব মিলিয়ে মোট ৩২০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বামেরা।