অভিরূপ দাস: করোনায় ভুগে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গিয়েছিল ফুসফুস। বাংলার চিকিৎসা জগতে নজির গড়ে ফুসফুস প্রতিস্থাপন (Lung Transplant) করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। তবে শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু হল করোনা রোগীর। মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর।
১০৭ দিন ধরে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বছর ছেচল্লিশের ওই ব্যক্তি। তাঁর ফুসফুস সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। দু’মাস ধরে একমো (ECMO) সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। একমো সাপোর্টও কাজ করছিল না। সে কারণেই পরিবারের সদস্যরা ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন। ফুসফুসের সন্ধান করছিলেন তাঁরা। শেষমেশ গুজরাটের সুরাটে এক রোগীর ব্রেন ডেথের (Brain death) খবর মেলে। তাতেই আশার আলো দেখা যায়। সেই রোগীর পরিবার এবং হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর ফুসফুস করোনা রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো দু’রাজ্যের চিকিৎসক মহল নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। সুরাট (Surat) থেকে ফুসফুসটি কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’, রবিবার থেকেই রাজ্যে ফের প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা]
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধেয় সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে রওনা দেয় ফুসফুস। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে অবতরণের পর গ্রিন করিডর করে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তা পৌঁছে যায়। এরপর রাতেই ডাক্তার কুণাল সরকারের নেতৃত্বে ৫ জনের চিকিৎসক দল শুরু করে অস্ত্রোপচার। ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় করোনা রোগীর (Covid Patient) শরীরে সফলভাবে তা প্রতিস্থাপন করেন তাঁরা। অস্ত্রোপচার সফলও হয়।
তবে হল না শেষরক্ষা। শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে জীবনযুদ্ধ হার মানেন তিনি। মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর। মৃত্যু সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ তাঁর পরিজনেরা।