সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অভাব পূরণ করতে তিনি প্রস্তুত। উপযাজক হয়ে দলকে প্রস্তাব দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি বলছেন, একা অনুব্রতকে তিহারে নিয়ে গিয়ে বীরভুমে তৃণমূলের শক্ত মাটিতে চিড় ধরানো যাবে না। দরকার পড়লে তিনি নিজে গিয়ে ‘ভোট করাবেন’।
অনুব্রতকে তিহারে নিয়ে যাওয়ার পর দল সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা মানতে নারাজ মদন। তিনি বলছেন, একা অনুব্রতকে তিহারে পাঠিয়ে কোনও লাভ হবে না। বীরভুমের লাল মাটি, এই শক্ত মাটিকে এভাবে ভাঙা যাবে না। একটা অনুব্রত গিয়েছে তাতে কী হয়েছে, হাজারটা মদন মিত্র আছে, হাজারটা দেবাংশু আছে।” কামারহাটির বিধায়ক বলে দিলেন, অনুব্রত যেভাবে দল চালাতেন, তিনিও সেভাবেই চালাতে চান।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় UNESCO, চিঠি পেয়েই পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
এ প্রসঙ্গে রোম-মোগল সাম্রাজ্যের উপমা টেনে মদনের বক্তব্য, মোগল সাম্রাজ্য একদিনে ভেঙে যায়নি। আবার রোমান সাম্রাজ্যও একদিনে তৈরি হয়নি। বোঝাতে চাইলেন, অনুব্রতকে তিহারে (Tihar) নিয়ে গেলেও বীরভূমে দলের যে ‘সাম্রাজ্য’ তিনি তৈরি করেছেন, সেই সাম্রাজ্য ভেঙে পড়বে না। বরং অনুব্রতর দেখানো পথেই তিনি বীরভূম জেলার দায়িত্ব সামলে দেবেন। এরপরই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মদনের প্রস্তাব, “দল যদি চায় আমি গিয়ে ভোট করাতে রাজি আছি। দরকারে এক মাস গিয়ে পড়ে থেকে ভোট করাব। আমি নিজে থেকে সেটা জানিয়ে রাখছি।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় UNESCO, চিঠি পেয়েই পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
আসলে মদন মিত্র (Madan Mitra) এই মুহূর্তে সেভাবে দলের বড় কোনও দায়িত্বে নেই। বীরভূমের মাটিতে দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি। যদিও তৃণমূল (TMC) এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে নতুন জেলা সভাপতি পর্যন্ত ঘোষণা করেনি তৃণমূল। আপাতত একটি কোর কমিটি গড়ে কাজ চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে ‘বীরভূমটা দেখবেন’ বলে জানিয়েছেন। সেখানে মদনকে আদৌ দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা সংশয় রয়েছে।