সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম না করে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে তাঁকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার মোদিকে পালটা দিলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “যে বিষয়ে জানেন না সে বিষয়ে কথা না বলাই ভাল। বেশি মা মা করলে খেসারত দিতে হবে।”
আসলে মহুয়ার একটি মন্তব্যের জেরে হঠাৎ দেশজুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন স্বয়ং মা কালী (Goddess Kali)। বঙ্গ এবং জাতীয় রাজনীতির অন্যতম ইস্যুই হয়ে দাঁড়িয়েছে মা কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্য। সেই বিতর্কের মধ্যেই বাংলার এক অনুষ্ঠানে ‘কালী কথা’ শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেন, “রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মা কালীকে স্পষ্ট দেখেছিলেন। মা কালীর চরণে নিজের সর্বস্ব সমর্পণ করেছেন। তিনি বলতেন, এই গোটা ভুবন, চরাচরেই ব্যপ্ত মায়ের চেতনা। এই চেতনাই বাংলার কালীপুজোয় দেখা যায়। এই চেতনাই গোটা ভারতের বিশ্বাসে দেখা যায়।মা কালীর আশীর্বাদ সবসময় ভারতের সঙ্গে আছে। এই আধ্যাত্মিক শক্তিই আজ ভারতকে বিশ্বকল্যাণের ভাবনায় শক্তি যোগাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের মতো অবস্থা হবে মোদির, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির]
মোদি নিজে বিতর্কের প্রসঙ্গ না তুললেও তাঁর এই বক্তব্য টুইট করে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তাঁর দাবি, তৃণমূল (TMC) যেখানে মা কালীকে অপমান করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মা কালীর প্রতি গোটা দেশের ভক্তির কথা তুলে ধরেছেন। একই টুইট করা হয় বঙ্গ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতেও। আসলে কালী বিতর্কে তৃণমূল তথা মহুয়াকে ব্যাকফুটে ফেলার সবরকম চেষ্টা করছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘শরণার্থী সমস্যা নেই, শ্রীলঙ্কার পাশেই আছে ভারত’, দ্বীপরাষ্ট্রের সংকটে দাবি জয়শংকরের]
কিন্তু মহুয়াও দমে যাওয়ার পাত্রী নন। মোদি তথা অমিত মালব্যকে টুইটে জবাব দিয়েছেন তিনিও। কৃষ্ণনগরের সাংসদ অমিত মালব্য বা মোদির নাম না করেই বলেন, “বিজেপির ট্রোল-ইন-চার্জকে (পড়ুন অমিত মালব্য) বলব আপনার প্রভুকে বলে দিন, যে বিষয়ে জানা নেই, সে বিষয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল। দিদি ও দিদি বলে ওরা জুতো খেয়েছিল। এবার বেশি মা-মা করলে বুকে লাথি খেতে হবে।”