সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই সময় গণতন্ত্র ঝুঁকির মুখে। কেন্দ্রের বিজেপির শাসনকালে দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন পরিস্থিতিতে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সংবিধান দিবসের দিনে আরও একবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের সংবিধানই রাস্তা দেখাতে পারে। সেই কথাও জানিয়েছেন তিনি। সংবিধান দিবসে রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এই দিনটি 'সংবিধান দিবস' বা 'জাতীয় আইন দিবস' হিসেবে পালিত হয়। বিআর আম্বেদকর সংবিধান রচনা করেছিলেন। ভারতবর্ষ বহু ভাষা, জাতি, ধর্মের দেশ। এই এদেশের নাগরিকদের সকলের সমান অধিকার। ভারতবর্ষ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যাতে অক্ষুন্ন থাকে, সেই কথাও সংবিধানে বলা হয়েছে।
বিজেপি শাসনকালে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে! দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আমলে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে! এমনই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষের সমানাধিকার। ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচিত হলেও বিজেপি সেই ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষদের বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে! ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার 'কুটিল ষড়যন্ত্র' চলছে বলে অভিযোগ তুলে আসছেন বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) একইভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এই ইস্যুতে তীব্র নিশানা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিজেপির আমলে ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন, সেই কথাও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। সংবিধান দিবসে আরও একবার বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে গণতন্ত্র বিপন্ন। ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বুলডোজার চলছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন, " যখন ফেডারেলিজমকে ধ্বংস করা হচ্ছে, এই সংকটময় সময়ে, আমাদের সংবিধান যে মূল্যবান নির্দেশনা প্রদান করে তা রক্ষা করতে হবে।" এদিন সংবিধান দিবসে রেড রোডে যান মুখ্যমন্ত্রী। আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরও কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তিনি। "যে কোনও মূল্যে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হচ্ছে। ভোটাধিকার হরণ করা হচ্ছে।যারা ক্ষমতা আছেন, তাঁরা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেননি।" সেই কথাও বলেছেন মমতা। "দেশে নিরপেক্ষতা নেই, একপক্ষ নেওয়া হচ্ছে। রাজা রামমোহন রায়কে অপমান করা হচ্ছে।" সেই কথাও বলেন তিনি।
