স্টাফ রিপোর্টার: ইস্পাত, মণি-রত্ন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাকটর, পর্যটন এবং বস্ত্র। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যে হওয়া বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভে এই ৮টি শিল্পক্ষেত্রের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে এছাড়াও থাকছে অন্যান্য ক্ষেত্রও। ধনধান্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই কনক্লেভ। যা রাজ্যে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের পথ আরও প্রশস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার নবান্নে এই কনক্লেভেরই চূড়ান্ত প্রস্তুতি বৈঠক হল। ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র-সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধনধান্যে বিজনেস কনক্লেভের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন রাজ্যের প্রথম সারির সব শিল্পপতি।
নবান্ন সূত্রে খবর, কনক্লেভের প্রথম পর্যায়ে শিল্পের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতি ও বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় শিল্পস্থাপনে রাজ্য সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে বক্তব্য রাখার কথা হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় বুধিয়া, উমেশ চৌধুরি-সহ আরও বিশিষ্ট শিল্পপতিদের। এ রাজ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতায় যে সব প্রকল্প হচ্ছে, এই বিজনেস কনক্লেভের দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে সেগুলোর 'প্লেনারি সেশন'। এই মুহূর্তে রাজ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতায় চলা প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা ও শহরতলিতে জলপথ পরিবহণের আধুনিকীকরণ, সুন্দরবনের নদীখাল সংস্কার এবং সেখানকার দ্বীপগুলির বাসিন্দাদের জীবনের মানোন্নয়ন, দামোদর অববাহিকায় বন্যারোধ ও সেচ পরিষেবা উন্নয়ন।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই কনক্লেভে শিল্পের আটটি ক্ষেত্রকে বিশেষভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, ইস্পাত, এআই। এছাড়া চর্মশিল্প, ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা শিল্পেও রাজ্য গুরুত্ব দিচ্ছে। এই আটটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত দপ্তরগুলিকে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ক্ষেত্রগুলির গুরুত্ব বোঝাতে পৃথক 'প্রেজেন্টেশন' তৈরি করতে হবে। কনক্লেভে অতিথিদের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হবে যে, রাজ্য কেন এই ক্ষেত্রগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
