সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতীতে তাণ্ডবের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন মূল উদ্যোক্তা। লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আনার মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ এনেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আঙুল তুলেছেন উদ্যোক্তাদের দিকে। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে শতদ্রুর নাম নেননি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, দর্শকদের টাকা ফেরানো নিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন মূল উদ্যোক্তা। পরে এডিজি জাভেদ শামিম জানান, মূল উদ্যোক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্রীড়াপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শনিবার শহরে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। শনিবার ঠাসা কর্মসূচি ছিল তাঁর। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবভারতীতে মেসি দর্শনে এসেছিলেন দর্শকরা। কেউ এসেছিলেন পুরুলিয়া থেকে, কেউবা কাঁথি। মেসিভক্তরা এসেছিলেন বেঙ্গালুরু, শিলং থেকেও। এমনকী নেপাল থেকে এসেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, যুবভারতীতে ঢোকার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে ছিলেন ভিআইপিরা। সেই সংখ্যাটা কম করে ১০০ হবে। ফলে গ্যালারি থেকে ২০ মিনিট মেসিকে দেখাই যায়নি। চড়া দামে টিকিট কেটে মাঠে গিয়েও প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁদের। দর্শকক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যুবভারতী।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন, শনিবারের দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। রাজীবের কথায়, "দর্শকদের অনেকেই ভেবেছিলেন, মেসি হয়তো মাঠে নেমে খেলবেন। মেসি যতটা সময় মাঠে ছিলেন, সেটাও কম বলেই মনে করছেন দর্শকদের অনেকে। সবমিলিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যুবভারতীতে।"
সাংবাদিক সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরেই জাভেদ শামিম জানান, "যুবভারতী এবং সংলগ্ন এলাকায় পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। এবার গোটা ঘটনায় শুরু হবে তদন্ত। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টিকিটের দাম দর্শকদের কীভাবে ফেরত দেওয়া যায়, সেই চিন্তাভাবনা চলছে।" সূত্রের খবর, বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল উদ্যোক্তা শতদ্রুকে।
