shono
Advertisement
West Bengal Medical Council

হাই কোর্টের নির্দেশে পদত্যাগ, আনন্দিতদের 'শুভেচ্ছা' মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানসের

অবসরের ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর স্বপদে বহাল ছিলেন মানসবাবু।
Published By: Sayani SenPosted: 07:01 PM Jan 31, 2025Updated: 09:25 PM Jan 31, 2025

অভিরূপ দাস: বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত‌্যাগ করলেন মেডিক‌্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. মানস চক্রবর্তী। তাঁর শেষ দিনেও অনেকে ‘বিক্ষোভ’ দেখাতে এসেছিলেন। যদিও অবসরের দিনে কারও ওপর ক্ষোভ জমিয়ে রাখেননি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক‌্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার। বরং বলেছেন, ‘‘খারাপ লাগে অত‌্যন্ত চেনাজানা লোকেরা পর হয়ে গেল। নিয়ম অনুযায়ী পদত‌্যাগ একদিন করতেই হতো। কিন্তু সেটা নিয়ে যা হল সেটা কাম‌্য ছিল না।’’

Advertisement

আর জি কর কাণ্ডের পর নানা ছুঁতোয় মেডিক‌্যাল কাউন্সিল ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতো বাম-অতিবামদের সংগঠন। গেট আটকে বিক্ষোভে ফ‌্যাসাদে পড়তেন অনেকেই। যা নিয়ে সম্প্রতি বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ জানানো হয় রাজ‌্য মেডিক‌্যাল কাউন্সিলের তরফে। চার চিকিৎসকের নাম ছিল সেখানে। ডা. মানস গুমটা, ডা. রঞ্জন ভট্টাচার্য‌্য, ডা. উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে কাউন্সিলের অভিযোগ, ‘‘সরকারি কাজে বাঁধা দিচ্ছে তারা। কাজের দিন গেট আটকে হল্লা করছে।’’ যদিও শেষদিন কোনও অভিমান রাখেননি ডা. মানস চক্রবর্তী। তাঁর পদত‌্যাগ চেয়ে যাঁরা আওয়াজ তুলেছিলেন তাঁদের প্রতি প্রাক্তন মেডিক‌্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের বক্তব‌্য, ‘‘কারও ওপর কোনও রাগ নেই। রাগ থেকে প্রতিহিংসা তৈরি হয়। এতদিন ধরে যাঁরা আমার পদত‌্যাগ চাইছিল তারা সকলেই আমাকে ভালোমতো চেনে। তাঁদের আগামীদিনের শুভেচ্ছা। আশা করবো নতুন যে রেজিস্ট্রার আসবে সে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। যে বিক্ষোভ আমাকে দেখতে হয়েছে তাঁকে তা দেখতে হবে না।’’

চলে যাওয়ার দিন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার স্বীকার করেছেন, ‘‘আমার আমলে মেডিক‌্যাল কাউন্সিলকে যে ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তা আগে কোনওদিন হয়নি। ভবিষ‌্যতেও হবে না। রীতিমতো ‘অ‌্যাসিড টেস্ট’ এর মধে‌্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে।’’ আগস্টে আর জি কর কাণ্ডের পর মুর্হূমুর্হূ আন্দোলনে স্তব্ধ হয়েছে মেডিক‌্যাল কাউন্সিল। সেখান থেকে আওয়াজ উঠেছে, ‘‘মেডিক‌্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদত‌্যাগ করুন।’’ ডা. মানস চক্রবর্তীর আফশোষ, ‘‘অত‌্যন্ত চেনাজানা লোকেরা পর হয়ে গিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী পদত‌্যাগ একদিন করতেই হতো। কিন্তু সেটা নিয়ে যা হল তা কাম‌্য ছিল না।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরই পদক্ষেপ।
  • শুক্রবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মানস চক্রবর্তী।
  • বলেন, "হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।"
Advertisement