অর্ণব আইচ: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ইডি, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছেন শিক্ষাদপ্তর, কমিশন, পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যর নাম। বারবার তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রক্ষাকবচও। তারপরেও অবশ্য গ্রেপ্তারি এড়ানো যায়নি। সোমবার মাঝরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন ইডি কর্তারা। সূত্র বলছে, মানিকবাবুর হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাট সন্দেহজনক ছিল, বহু চ্যাট মুছে ফেলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবও দিতে পারেননি পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এরপরই মাঝরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) তরফে মানিক ভট্টাচার্যর রক্ষাকবচের মেয়াদ ছিল ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। তারপরই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মানিকবাবু পর্যাপ্ত নথি দিতে পারেননি। তাঁর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যায়, আর কে নামে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা, যা পর্ষদ তুলে দিয়েছিল শিক্ষাদপ্তরের হাতে, তা নিয়ে কথা হয়েছিল উভয়ের মধ্যে। অথচ সেই তালিকা কোথায়, তা জানেন না বলে দাবি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু সেসবের রেকর্ড নেই। এই মুহূর্তে তদন্তকারীদের খোঁজার বিষয় একটাই – কে এই আর কে? যাঁর সঙ্গে চাকরির তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন মানিক।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসছে সিংহও, পর্যটক টানতে নয়া ভাবনা বনদপ্তরের]
ইডি আধিকারিকরা তাঁকে নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। কোথায় সেই তালিকা? এ প্রশ্নের জবাব তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেন মানিকবাবু। তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করেননি তিনি, এই অভিযোগ তুলে মাঝরাতে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তারির সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার হওয়ার পর অবশ্য মানিকবাবুর শরীরী ভাষায় তেমন টেনশনের ছাপ দেখা গেল না।
[আরও পড়ুন: বিয়ের টোপ দিয়ে ডাকা হয় অয়নকে! হরিদেবপুরে যুবক খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
রাতভর সিজিও কমপ্লেক্সেই (CGO Complex) ছিলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সোমবার তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই (ESI) হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর পেশ করা হবে ব্যাংকশাল আদালতে। কারণ, পুজোর ছুটির জন্য বন্ধ ইডি বা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা।