সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমি বাংলা। আর সেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই আমন্ত্রিত দু'শো বছর ধরে পদানত করে রাখা ব্রিটিশদের দেশে। এ অতি বড় গর্বের কথা! এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরকে ব্যাখ্যা করে গর্বিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার বণিকসভার একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, বাংলার যে কোনও ভালো ঘটনাই তাঁকে আনন্দিত করে তোলে। অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে সেখানে যাচ্ছেন, তাতে তিনি দারুণ গর্বিত। এই সম্মান আসলে বাংলার সাফল্য বলে মনে করছেন সিভি আনন্দ বোস।আর তাঁর এই বক্তব্যে আরও স্পষ্ট, অতীতের সমস্ত তিক্ততা ভুলে রাজ্যের উন্নয়নের ইস্যুতে প্রশাসনের পাশে থেকেই কাজে আগ্রহী রাজভবন।

অক্সফোর্ড-সহ লন্ডনের তিনটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর লড়াইয়ের গল্প শুনতে আগ্রহী পড়ুয়ারা। এছাড়া ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর একাধিক প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত। শিল্পক্ষেত্রে রাজ্য সরকার একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। আর তাতে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে এরাজ্যের। কোন মন্ত্রবলে এমনটা ঘটল? তা জানতে চান বিলেতের প্রতিনিধিরা। সরকারের তরফে নাগরিক পরিষেবা একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিয়ে যে আমূল বদল ঘটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার, সেসব বিষয়েও আগ্রহী তাঁরা। আর তাই এবার ব্রিটেনে অতিথি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লন্ডন যাত্রার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর লন্ডন সফরের জন্য উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন মাননীয় রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোসের প্রতিনিধি।
শনিবার সন্ধ্যার বিমানে মুখ্যমন্ত্রী রওনা হচ্ছেন লন্ডনে। দুবাই হয়ে টেমস নদীর তীরে পৌঁছবেন তিনি। আর তাঁর এই সফর অত্যন্ত গর্বের বলে মনে করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এনিয়ে তাঁর মন্তব্য, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটিরই কন্যা। এটা অত্যন্ত গর্বের যে তাঁকে লন্ডন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন।'' একাধিক ইস্যুতে নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্বের পরিবেশ থাকলেও বিলেতের মাটিতে বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সফর যে বাংলাকেই আরও গর্বিত করবে, সে বিষয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই রাজ্যপালের। তাঁর বার্তায় সেটাই স্পষ্ট করলেন আনন্দ বোস।