সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে গেরুয়া পতাকা, কণ্ঠে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। স্লোগান দিতে দিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ছে উন্মত্ত জনতা। শনিবারের এই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বাংলা-বিরোধী বিজেপি বাংলাকে বদনাম করতে যেকোনও সীমা ছাড়াতে পারে।
শনিবার নির্ধারিত সময়েই যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছে যান মেসি (Messi In Kolkata)। মাঠে ঢোকেন লুইস সুয়ারেজ এবং রডরিগো ডি’পলকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু আয়োজক-সহ অন্যান্যদের ভিড়ে কার্যত ঢাকা পড়ে যান মেসি। তিনি হাসিমুখে হাত নাড়ছিলেন দর্শকদের দিকে। কিন্তু গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকরা সেটা দেখতেই পাননি। সেখান থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যুবভারতী স্টেডিয়াম। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসি।
ফুটবলের রাজপুত্র মাঠ ছাড়তেই দর্শকের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। মাঠের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন উন্মত্ত জনতা। গ্যালারির সিট ভেঙে ছুড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের ভিতরে। ভেঙে দেওয়া হয় প্লেয়ারদের টানেল, ক্যানোপি। তাণ্ডবের সময়ই দেখা যায়, জয় শ্রীরাম লেখা গেরুয়া পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকছেন একদল উন্মত্ত জনতা। জয় শ্রীরাম স্লোগানও শোনা যায় তাদের মুখে।
সেই দৃশ্য দেখেই সুর চড়িয়েছেন কুণাল। ফেসবুকে তিনি লেখেন, 'আজ আমরা দেখেছি বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীরা মাঠে ঢুকে উসকানি দিতে ও অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তারা গেরুয়া পতাকা বহন করছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল। দর্শকদের ক্ষোভের সুযোগ নিয়ে এরা বিশৃঙ্খলা করছিল। শকুনের রাজনীতি করেছে। বাংলা-বিরোধী বিজেপি বাংলাকে বদনাম করতে যেকোনও সীমা ছাড়াতে পারে। পুলিশের উচিত এই ধরনের অসামাজিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা।'
উল্লেখ্য, গোট কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবারের বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে যারা মাঠে নেমে ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
