কৃষ্ণকুমার দাস: ‘খেলা হবে’ দিবসের সকালে অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। প্রাতঃভ্রমণের পর ফুটবল খেলেছিলেন তিনি। ফুটবল খেলেই এবার কটাক্ষের শিকার বিজেপি সাংসদ। ব্যঙ্গের সুরে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বললেন, “সাতসকালে ফুটবল খেলে উনি খেলা হবে দিবসের সমর্থন করলেন।”
এদিন সকালে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “বাকিরা ডায়লগ দেয়। আমি গোল দিই।” পালটা দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিজেপি ভোটের সময় কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মতো বড়বড় প্লেয়ারদের খেলতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে গোল খেয়ে ফিরে গিয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি গোল করে না গোল খায়।” মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তৃণমূলকেই সমর্থন করছেন, এদিন ব্যঙ্গের ভঙ্গিতে তা-ও বলেন ফিরহাদ। পাশাপাশি দেশজুড়ে খেলা হবে দিবস পালন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরাতেও খেলা হবে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলার মতো ত্রিপুরাতে তৃণমূল সরকার জিতবে।”
[আরও পড়ুন: রাতের মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বোমাবাজি, প্রাণহানি TMC পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়িচালকের]
এদিন ত্রিপুরা ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন ফিরহাদ। বলেন, “রবিবার ত্রিপুরায় দোলা সেন এবং তার আপ্তসহায়ক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে মার খেয়েছেন। জাকিরের উপর ইট বৃষ্টি করা হয়েছে। যা একেবারেই অনুচিত। গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার কথা বলার অধিকার রয়েছে। সবাই সবার মতো করে কথা বলবে। কিন্তু এইরকম ভাবে আঘাত হানা যায় না।” এছাড়াও এদিন রাজ্যের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কাজই করছেন। দুয়ারে রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে। ফ্রিতে রেশন পাচ্ছেন। যারা কাজ হারিয়েছিলেন তারা রাজ্যে ফিরে এসে পুনরায় কাজ পাচ্ছেন এবং ফ্রিতে রেশন পাচ্ছেন। পড়ুয়ারা পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাচ্ছেন। গ্যারান্টার হিসেবে থাকছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সমস্ত রকম সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।”