shono
Advertisement

শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় শামিল মন্ত্রী-বিধায়করা, তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন পার্লার-সেফ হোম

বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয়দের কোথায় সমস্যা তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
Posted: 08:55 AM May 17, 2021Updated: 08:55 AM May 17, 2021

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সব থেকে বেশি দাবি হাসপাতালের শয্যার। ভ্যাকসিন নিয়ে একটা সময় দাবি উঠছিল ঠিকই। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ভ্যাকসিনের বদলে দাবি বেড়েছে অক্সিজেন আর হাসপাতাল শয্যার। জিতে বিধায়ক বা মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আপাতত মানুষের সেইসব দাবি মেটাতে কেউ উদ্যোগ নিয়েছেন অক্সিজেন পার্লার খোলার, তো কেউ হাসপাতালের শয্যার বিকল্প পথ সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

Advertisement

ফেসবুক পেজ ভরে গিয়েছে অক্সিজেন সাপ্লাই আর হাসপাতালের শয্যার খবরে। সেই সুযোগে অসংখ্য বেআইনি কাজও চলছে। সত্যিকারের উদ্যোক্তা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন সরকারি বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে চাপ অত্যধিক বেড়েছে। এমনকী, আইসিইউ এর দাবি মেটানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে। রোগীর পরিবারের অভিযোগও উঠছে অসংখ্য। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বা বিধায়কের উদ্যোগে স্থানীয় ক্লাব বা কোনও সংগঠন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রবিবারই দক্ষিণ কলকাতার বড়িশার একটি ক্লাবকে অক্সিজেন পার্লারের চেহারা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উদ্যোগে কাজটি হয়েছে। এমন একাধিক এলাকায় স্থানীয় দাবি মেটাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন। ভোটের ফল বেরনোর পরপরই গলাটা আরও ভেঙেছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু তাতে ফোনের বিরাম নেই। বলছেন, “অক্সিজেন আর হাসপাতালের শয্যার দাবিতে মানুষের ফোন আসছে। যতটা সাধ্যের মধ্যে আছে করছি।”

[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে চনন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিগুলি]

ভবানীপুরেই একটি সেফ হোম তৈরির পরিকল্পনা আছে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। প্রথমত জায়গা বাছাই করা, তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা, অক্সিজেন সরবরাহ বা জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সব দিক দেখে তবেই চূড়ান্ত কাজে হাত দেবেন। আপাতত সেফ হোম চালাতে ন্যূনতম যেটুকু পরিষেবা দরকার সেটুকু ব্যবস্থা করার কাজ চলছে।

কিছুদিন আগেই অক্সিজেন পার্লার খুলেছেন আরেক মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। চেতলায় অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের ব্যবস্থা করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শপথ নিয়েই এভাবে একাধিক বিধায়ক নেমে পড়েছেন কেউ সেফ হোম তৈরির কাজে, কেউ বা অক্সিজেনের জোগান নিয়ে। একই ছবি রাজ্যের অন্যত্রও। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন সৌমেন মহাপাত্র। এলাকার মানুষের দাবি মেনে সদ্য কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছেন। সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স। বলছেন, “চাহিদা অনুযায়ী এটুকু কিছুই না। তবু যতটুকু পারব আমার সাধ্যে কুলোবে আমি করব।” একইভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এলাকায় মানুষের আতঙ্ক কাটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি জানার কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, কার কোথায় কী সমস্যা জানতে হবে। ফিডব্যাক দিতে হবে বিডিও অফিসে। সেখান থেকে প্রয়োজন মাফিক দাবি চাহিদা মেটানো হবে। অক্সিজেন, সেফ হোমের দাবি মেটাতে কোনও কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement