রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট থাকলেও ৫০ লক্ষের মধ্যেই থামতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে। শুক্রবার রাতে সদস্য সংগ্রহ ৫০ লক্ষ ছোঁবে বলে দাবি করে রেখেছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার সকালে জানা যাবে, বাংলায় শেষ সময়সীমা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠিক কতজন সদস্য সংগ্রহ করতে পারল পদ্ম শিবির। তবে সংখ্যাটা যে কোনওভাবেই ৫০ লক্ষ পেরচ্ছে না, তা স্পষ্ট।
এই ছবিতেই প্রশ্ন উঠছে, ১ কোটির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও আড়াই মাসে তার অর্ধেকে থামতে হল কেন? আবার দলেরই একাংশ বলছে, ৫০ লক্ষ খাতায়-কলমে দেখানো হবে, কিন্তু আসল সদস্য তার থেকে অনেক কম। রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের নেতারা অবশ্য বলছেন, ‘‘নিন্দুকেরা এমন কথা বলবে। আমাদের সদস্য সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছোঁবেই।’’ তবে সদস্য আদৌ ৫০ লক্ষ হবে কী না, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বঙ্গ বিজেপির মধ্যেই। তবে সংবাদ মাধ্যমে আবার বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর দাবি, ৫০ লক্ষ সদস্য হয়ে গিয়েছে। ৬০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যাবে।
এদিকে, বিজেপির সদস্য সংগ্রহ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ডাহা ফেল রাজ্য বিজেপি। রাজনৈতিক পরিযায়ী কয়েকজন এসে বড়বড় কথা বলে যান। তারপর বিয়েবাড়ি, শ্রাদ্ধবাড়ি, অন্নপ্রাশন বাড়িতে গিয়ে মিসড কল দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এভাবে কোনও দল হয় নাকি? সার্কাস পার্টি বিজেপি। এই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জনবিচ্ছিন্নতা। বাংলার শত্রু এরা। এই বিজেপি সাংগঠনিকভাবে দীর্ণ, চূর্ণ।’’
অন্যদিকে, বিজেপির সদস্য সংগ্রহে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা ৫০ হাজার সদস্য করেছে বলে দাবি দলের তরফে। তবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত শেষ সময় ছিল বাংলায় সদস্য সংগ্রহের। নেতৃত্ব যতই দাবি করুক না কেন, আসলে সদস্য সংখ্যা ৫০ লক্ষ হয়েছে বলেই বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর। যদিও রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, সংগৃহীত সদস্য আরও অনেক কম হয়েছে। বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে সংখ্যা।