গৌতম ব্রহ্ম: বায়োমেট্রিক হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে এবার হাজিরা খাতায় সই করার বিষয়টি পুরোপুরি তুলে দিল নবান্ন। সম্প্রতি অর্থদপ্তরের কর্মীদের জন্যে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের ডেপুটি সেক্রেটারি নাভেদ আখতার।
নির্দেশে বলা হয়েছে, এত দিন বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি খাতায় সই করার সুবিধা বজায় থাকলেও তা এ বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ নবান্নে অর্থদপ্তরের কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হল। গত বছর মে মাসে অর্থদপ্তরের নবান্নে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করে। কিন্তু পাশাপাশি হাজিরা খাতায় সইয়ের পুরনো ব্যবস্থাও রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক কর্মীই নানা অজুহাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এড়িয়ে যাচ্ছেন। শুধুই খাতায় সই করছেন। সকলে বায়োমেট্রিক ব্যবহার না করায় মাসের শেষে কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত রিপোর্ট বানাতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল। এ বার আর সেই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অর্থদপ্তরের কর্মীদের একাংশের অবশ্য দাবি, বায়োমেট্রিক মেশিন খারাপ থাকলে বা মেশিনে ডেটা আপলোড না হলে তখনই বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবা হয়, খাতায় সই করা হয়। বিশেষ করে অন্য কোনও দপ্তর থেকে যাঁরা বদলি হয়ে নবান্নে এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হচ্ছে। যাঁরা পদোন্নতির কারণে নবান্নে এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এমন দেখা গিয়েছে। এই সব কারণে নতুন নির্দেশ জারি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, নবান্নে অর্থদপ্তরের সব বিভাগ এবং শাখার সর্বস্তরের কর্মীদের জন্য একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরাই ‘গ্রহণযোগ্য’ হবে। পদোন্নতি বা বদলি হয়ে যাঁরা নবান্ন আসবেন, যোগ দেওয়ার দিনই তাঁদের বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত কাজ করে নিতে হবে। একই ভাবে যাঁরা নবান্ন থেকে অন্য কোনও দপ্তরে চলে যাবেন, তাঁদের বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা বন্ধ করার কথা আগাম জানাতে হবে।